মহেশখালী প্রতিনিধি:
মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ী ইউনিয়নের দক্ষিণ রাজঘাটে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ৩নং ওয়ার্ডের নব নির্বাচিত ফুটল মার্কা প্রতীকের মেম্বার রিয়াজ উদ্দিনের সমর্থকদের বাড়ি ঘরে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটতরাজ চালিয়েছে পরাজিত মেম্বার প্রার্থী দেলোয়ারের পোষা লোকজন তার সহোদর ইসমাইলের নেতৃত্বে।
পারিবারিক কাজে বাজারে সওদা করতে গেলে কোন কিছু বুঝে উঠার আগে প্রকাশ্যে বাজারে হামলা চালানোর কারণে মারাত্বক আহত হয়ে রক্তাক্ত জখম হয়েছেন রাজঘাট গ্রামের মৃত হাজ্বী বানচু মিয়ার পুত্র উপজেলা যুবদলের সিনিয়র-সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হোছাইন মাসুম (৪০), অপির আহমদের স্ত্রী রহিমা বেগম (৫০) ও রহিম উদ্দিনের স্ত্রী খোরশিদা বেগম (৪০)।
এলাকাবাসীরা রক্তাক্ত অবস্থায় যুবদল নেতা হোছাইন মাসুম, রহিমা বেগম ও খোরশিদা বেগমকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে মহেশখালী হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় মোহাম্মদ হোছাইন মাসুমকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ ঘটনাটি ঘটেছে ২৪ মার্চ বৃহস্পতিবার সকাল ৮ টার দিকে। ঘটনার পর পর মাতারবাড়ী পুলিশ ফাঁড়ি ও কালারমারছড়ার পুলিশ ফাঁড়ির একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। এখনো ঐ এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
রাজঘাটের ব্যবসায়ীরা নাম প্রকাশ না করার সত্বে জানান, ইসমাইল বাহিনীর নেতৃত্বে মনির উদ্দিন, সাখাওয়াত হোছাইন, তানবির, সজিব, রিদুয়ান, জাহেদ, মোহাম্মদ ইয়াছিন, কুখ্যাত ডাকাত সবুজ ও আল আমিনসহ অর্ধশত একদল অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী গত দুইদিন ধরে রিয়াজ উদ্দিন মেম্বারের সমর্থকদের বাড়িঘরে হামলা ও মারধর অব্যাহত রাখায় এলাকার লোকজন ভীতি অবস্থায় রয়েছেন।
দক্ষিণ রাজঘাটের দোকানপাট ৬ ঘন্টা ধরে বন্ধ থাকার পরে পুলিশ আসলে খোলে দেওয়া হয়। অস্ত্রধারী রিয়াজ উদ্দিনকে গ্রেফতার করা না হলে মাতারবাড়ীতে কুতুবদিয়া, মহেশখালী পৌরসভা, টেকনাফের মত হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে বলে সচেতন মহলের অভিমত।
এ ব্যাপারে সত্যতা জানতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে মাতারবাড়ী ফাঁড়ী পুলিশের আইসি আবদুল মালেক আমাদের রামু কে জানান, আহত লোকজনের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে সংশ্লিষ্ট আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।