ইমরান হোসাইন, পেকুয়া:
ঘূর্ণিঝড় মোরা পরবর্তী তাৎক্ষণিক সহায়তা হিসেবে পেকুয়া উপজেলার সাত ইউনিয়নের দুর্গত মানুষের মাঝে ১৩ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করা হয়েছে।
বুধবার (৩১মে) বিকেলে উপজেলার প্রত্যেক ইউনিয়নে এসব চাল বিতরণ করেন সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যরা।
উজানটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, মোরা আক্রান্ত মানুষের জন্য বরাদ্দকৃত ৩ মেট্রিক টন চাল ১০কেজি হারে তিনশত জন উপকারভোগী মাঝে যথাযথভাবে বিতরণ করা হয়েছে।
মগনামা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শরাফত উল্লাহ ওয়াসিম বলেন, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মহোদয়ের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় উপকূলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমেছে। একইভাবে তিনি পেকুয়ার উপকূলীয় তিন ইউনিয়নে ত্রাণ বরাদ্দ অব্যাহত রেখেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় আজ বুধবার ঘূর্ণিঝড় মোরা আক্রান্ত ৩০০ পরিবারকে তিন টন চাল বিতরণ করা হয়েছে।
পেকুয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাফায়েত আজিজ রাজু বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোরা’র আক্রমণে উপজেলা এক হাজার বসতঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। সে অনুপাতে বরাদ্দকৃত ত্রাণ খুবই অপ্রতুল। তাই আমি ত্রাণ সহায়তা আরো বাড়াতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আবেদন রাখছি।
পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুবুল করিম আমাদের রামু ডটকমকে বলেন, উপজেলার উপকূলীয় তিন ইউনিয়ন মগনামা, উজানটিয়া ও রাজাখালীতে তিন টন করে চাল বিতরণ করা হয়েছে। অপর চার ইউনিয়ন পেকুয়া সদর, টইটং, শীলখালী ও বারবাকিয়াতে এক টন করে চাল বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া ঘূর্ণিঝড় মোরা দুর্গতদের জন্য কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মহোদয় আরো দশ টন চাল বরাদ্দ দিয়েছেন। তা আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) ভোক্তভুগীদের হাতে পৌছাবে।