ছাত্রলীগ নেতা হত্যাকাণ্ডের পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলেও হঠাৎ করেই সদলবলে পাহাড়িদের গ্রামে হামলা চালিয়ে বাড়ি-ঘরে আগুন দেওয়া হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শী একজন জানিয়েছেন।
নির্মল চন্দ্র চাকমা নামে এই পাহাড়ি বলেছেন, পুলিশ ও সেনা সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলেও নিবৃত্ত করতে পারেনি হামলাকারী বাঙালিদের।
বৃহস্পতিবার যুবলীগের লংগদু সদর ইউনিয়ন শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়নের লাশ খাগড়াছড়ি- দীঘিনালা সড়কের চার মাইল এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়। নয়ন ভাড়ায় মোটর সাইকেল চালাতেন।
শুক্রবার সকালে ময়নাতদন্তের পর নয়নের লাশ লংগদু উপজেলা সদরের বাট্ট্যাপাড়ায় নেওয়ার পর বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। এরপর তিনটিলা পাড়া, বাত্যাপাড়া, উত্তর ও দক্ষিণ মানিকজুড় ও বড়াদম এলাকায় পাহাড়িদের ঘরে আগুন দেওয়া হয়।
এই সময় ওই এলাকার অন্য সব পাহাড়ির সঙ্গে জঙ্গলে লুকিয়ে ছিলেন এনজিওকর্মী নির্মল; তিনি সমন্বিত সমাজ উন্নয়ন প্রকল্পের ফিল্ড অফিসার হিসেবে কাজ করেন।
শনিবার সকালে ফিরে নিজের অফিসও আগুনে পোড়া অবস্থায় পান নির্মল।
তিনি টেলিফোনে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আগের দিন নয়নের লাশ উদ্ধারের পর পরিস্থিতি স্বাভাবিকই ছিল। স্থানীয় চেয়ারম্যানও আশ্বস্ত করেছিল যে পাহাড়িদের কোনো সমস্যা হবে না।
“সব কিছু স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু হঠাৎ সকাল ৯টা-সাড়ে ৯টার দিকে কী যে হল! সবাই ছোটাছুটি শুরু করল, দেখলাম শুধু পাহাড়িদের বাড়িঘরগুলো পুড়ছে।”
সূত্র: বিডিনিউজ।