রাঙামাটির লংগদুতে যুবলীগ নেতা নিহতের পর পাহাড়িদের বাড়িঘরে আগুন দেওয়ার ঘটনায় জড়িতদের বিচার চেয়েছে ছাত্র ইউনিয়ন।
এছাড়া পাহাড়ি ওই গ্রামগুলোর বাসিন্দাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি জানিয়েছে সংগঠনটির চট্টগ্রাম জেলা সংসদ।
শনিবার নগরীর আন্দরকিল্লা মোড়ে বিক্ষোভ মিছিল শেষে সমাবেশ থেকে এসব দাবি জানানো হয়।
বৃহস্পতিবার স্থানীয় এক যুবলীগ নেতার লাশ উদ্ধারের পর কিছু লোক শুক্রবার সকালে লংগদুর তিনটিলা পাড়া, বাত্যাপাড়া, উত্তর ও দক্ষিণ মানিকজুড় ও বড়াদম এলাকায় পাহাড়িদের ঘরবাড়িতে আগুন দেয়।
সমাবেশে চট্টগ্রাম জেলা সংসদের আহ্বায়ক গোলাম সরওয়ার বলেন, আইনশৃংখলা বাহিনী ও প্রশাসনের লোকজনের সামনে পাহাড়িদের বাড়িঘরে হামলা করে লুটপাটের পর তা পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
কমপক্ষে ২০০ বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “অবিলম্বে এ বর্বরতার সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি আদিবাসীদের গ্রামে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।”
পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ নেতা সুরেশ চাকমা সমাবেশে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেন।
অন্যদের মধ্যে ছাত্র ইউনিয়ন চট্টগ্রাম জেলা সংসদের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য নাহিদ আল নাহিয়ান, শাহরিয়ার রাফি এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের কোষাধ্যক্ষ গৌরচাঁদ ঠাকুর সমাবেশে বক্তব্য দেন।
খাগড়াছড়ি-দীঘিনালা সড়কের চার মাইল (কৃষি গবেষণা এলাকা সংলগ্ন) এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার যুবলীগের লংগদু সদর ইউনিয়ন শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক নূরুল ইসলাম নয়নের লাশ উদ্ধারের পর ওই এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হয়।
শুক্রবার সকালে ময়নাতদন্তের পর নয়নের লাশ লংগদু উপজেলা সদরের বাত্যাপাড়ায় নিয়ে যাওয়া হলে সেখান থেকে তার লাশ নিয়ে লংগদু সদরে বিক্ষোভ-মিছিল বের হয়।
এক পর্যায়ে কিছু লোক তিনটিলা পাড়া, বাত্যাপাড়া, উত্তর ও দক্ষিন মানিকজুড় ও বড়াদম এলাকায় পাহাড়িদের ঘরবাড়িতে আগুন দেয় বলে স্থানীয়দের ভাষ্য।
সূত্র: বিডিনিউজ।