হাফিজুল ইসলাম চৌধুরী :
২০১২ সনের স্মরণীয় ভয়াবহ বন্যার পর আরও একটি বন্যার দেখা পেয়েছে নাইক্ষ্যংছড়ি, গর্জনিয়া ও কচ্ছপিয়াবাসী। আষাঢ়ী অতিবর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলে সারা দেশের নানা স্থানের ন্যায় বুধবার (৫জুলাই) নাইক্ষ্যংছড়ির পাঁচ ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম এবং গর্জনিয়া ও কচ্ছপিয়ার ৯০ভাগ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে লাখো মানুষ। দিনের বেলায় পানি বৃদ্ধি হওয়ায় এতদঅঞ্চলের মানুষ বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেলেও ঘুমধুমে পাহাড় ধসে এক গৃহবধু প্রাণ হারিয়েছে। তবে মৎস্য ও কৃষিখাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
দুপুর থেকে রামু-নাইক্ষ্যংছড়ি সড়কের একাধিক স্থান জলের নিচে তলীয়ে যাওয়ায় সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। বিকেলে দেখা যায়-বাঁকখালী নদীর প্রবল ¯্রােতে রামুর ঝুঁকিপূর্ণ গর্জনিয়া সেতুর নবনির্মিতি এপ্রোচ সড়কটি ফের নদীর জলে তলীয়ে যাচ্ছে। আর গর্জনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সৈয়দ নজরুল ইসলাম কর্মসূচির লোক ও স্থানীয়দের নিয়ে সেতু রক্ষায় চেষ্টা চালাচ্ছেন।
নাইক্ষ্যংছড়ি সদরের ধুংরী হেডম্যানপাড়া, বড়ুয়াপাড়া, বাজারপাড়া, আশারতলী, কম্বনিয়া এলাকায় কোথাও হাটু পানি আবার কোথাও কোমর পানি পাড়ি দিয়ে দূর্গত মানুষের পাশে ছুটে যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস.এম সরওয়ার কামাল ও সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান তসলিম ইকবাল চৌধুরী।
স্থানীয় সূত্র জানায়, নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নে বুধবার বিকেলে পাহাড় ধসে মা নিহত ও মেয়ে গুরুত্বর আহত হয়েছে। নিহতের নাম ছেমুনা খাঁতুন (৪৫)। আর তাঁর স্বামী হলেন মোহাম্মদ মাজেদ। গুরুত্বর আহত অবস্থায় নিহতের মেয়ে আমেনা খাতুনকে (২২) স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
নাইক্ষ্যংছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তৌহিদ কবির বলেন, ঘুমধুমে পাহাড় ধসে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। ওই এলাকায় পুলিশ উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে।