প্রজ্ঞানন্দ ভিক্ষু, উখিয়া থেকে ফিরে।
মুক্তিযোদ্ধা মোহন লাল বড়ুয়ার অন্ত্যোষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। ৪ মার্চ কুতুপালং মধ্যমপাড়া গ্রামের স্থানীয় শশ্মানে তাঁর মরদেহ সৎকার করা হয়েছে।
এর আগে প্রয়াতের উদ্দেশে এক অনিত্য সভা নিজ বাড়িতে অনুষ্ঠিত হয়। ভারতের বোম্বে থেকে আগত ভদন্ত ধর্মরত্ন মহাথের’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় ধর্ম দেশনা দান করেন ভদন্ত ধর্মপাল মহাথের, ভদন্ত প্রজ্ঞাবোধি থের, ভদন্ত জ্যোতিসেন থের, ভদন্ত শীলমিত্র ভিক্ষু এবং ভদন্ত প্রজ্ঞানন্দ ভিক্ষু প্রমূখ।

সভায় প্রয়াতের উদ্দেশে স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য দেন মাষ্টার অরবিন্দু বড়ুয়া এবং রাজমোহন বড়ুয়া।
সভায় তাঁর স্ত্রী, ১ ছেলে ও ৪ মেয়েসহ অসংখ্য আত্নীয়-স্বজন উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, মুক্তিযোদ্ধা মোহন লাল বড়ুয়া ৩ মার্চ, রোববার সকাল ৮ টায় কুতুপালং মধ্যমপাড়া গ্রামের নিজ বাসভবনে পরলোক গমন করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর।
মোহন লাল বড়ুয়া কুতুপালং মধ্যমপাড়া গ্রামের মৃত কালী মোহন বড়ুয়ার ছেলে।
১৯৭১ সালে যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন মোহন লাল বড়ুয়া। দেশ স্বাধীন হল। কিন্তু অনেকে মুক্তিযোদ্ধার রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পেলেও মৃত্যুর আগ পর্যন্ত মোহন লাল বড়ুয়া স্বীকৃতি পাননি।
অবশেষে এই বীর যোদ্ধা স্বীকৃতি ছাড়াই পরলোকে চলে গেলেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি না পাওয়ায় তাঁর পরিবার ক্ষোভ এবং হতাশা প্রকাশ করেন।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে উখিয়া মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সভাপতি পরিমল বড়ুয়া আমাদের রামু ডটকম কে বলেন, ‘কিছু ভুলের কারণে মোহন লাল বড়ুয়া সরকারিভাবে প্রণীত মুক্তিযোদ্ধাদের গেজেট থেকে বাদ পড়েছেন। পরে আমরা চেষ্টা করেও তার জন্য কিছুই করতে পারিনি। অথচ তিনি আমাদের সহযোদ্ধা ছিলেন’।