শহিদুল ইসলাম, উখিয়া।
কক্সবাজারের উখিয়ায় অতি দরিদ্রদের কর্মসৃজন প্রকল্প নিয়ে প্রশাসনের দুপক্ষে দেখা দিয়েছে মতবিরোধ। ২ এপ্রিল থেকে মাঠ পর্যায়ে ২য় পর্যায়ের কাজ শুরু হওয়ার কথা স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাঈন উদ্দিন জানলেও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা স্থানীয় সংবাদ কর্মীদের কর্মসৃজন প্রকল্পের তালিকা সরবরাহ করতে পারেননি।
উপজেলা চেয়ারম্যান ছেনুয়ারা বেগম বলেন, ২য় পর্যায়ের কর্মসৃজন প্রকল্পের কাজ শুরু হওয়ার বিষয়টি তিনি জানেন না। এ ব্যাপারে কর্মসৃজন প্রকল্পের যাবতীয় তথ্য চেয়ে উপজেলা প্রশাসনের নিকট একটি চিঠি ইস্যু করা হয়েছে।
উখিয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২ এপ্রিল শনিবার থেকে উপজেলার ৫ ইউনিয়নে একযোগে অতি দরিদ্রদের কর্মসৃজন প্রকল্পের ২য় পর্যায়ের কাজ শুরু হয়।
তৎমধ্যে পালংখালী ইউনিয়নে ৯টি প্রকল্পের অনুকুলে ৪৭৫ জন শ্রমিক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া রাজাপালং ইউনিয়নে ৮টি প্রকল্পের অনুকুলে ৩৩১ জন, হলদিয়াপালং ইউনিয়নের ৯টি প্রকল্পের ৩৫০ জন, জালিয়াপালং ইউনিয়নের ৫টি প্রকল্পের ২৪৩ জন ও রত্নাপালং ইউনিয়নে ৩টি প্রকল্পে কাজ করার জন্য ১৩৭ জন শ্রমিক সহ ১৫১৬ জন শ্রমিক নিয়োগ দেওয়ার কথা স্বীকার করলেও তারা অনুমোদিত প্রকল্পের তালিকা ও প্রকল্প সভাপতির নাম জানাতে পারেননি।
সরেজমিন রত্নাপালং ইউনিয়নের ইউ,পি, সদস্য মাহামুদুল হকের প্রকল্প ঘুরে কোন শ্রমিক কাজ করতে দেখা যায়নি। ওই প্রকল্পের দায়িত্বরত ট্যাগ অফিসার সমবায় কর্মকর্তা কবির আহমদ আমাদের রামু ডটকম কে জানান, তিনি ওই প্রকল্পগুলো এ পর্যন্তও দেখেননি এবং গৃহীত প্রকল্পের তালিকা তার হাতে পৌছেনি।
স্থানীয় বেশ কয়েকজন বয়োবৃদ্ধ নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, কর্মসৃজনের নাম ভাঙ্গিয়ে হত দরিদ্রদের টাকা লুটপাট করা হচ্ছে।
সম্প্রতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাঈন উদ্দিনের সাথে কর্মসৃজন প্রকল্প নিয়ে আলাপ করা হলে তিনি ২ এপ্রিল থেকে ২য় পর্যায়ের কর্মসৃজন প্রকল্পের কাজ শুরু করার কথা স্বীকার করলেও কোন কোন এলাকায় কতটি প্রকল্প গৃহীত হয়েছে তা জানাতে পারেননি।
এ সময় উপস্থিত প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জুবায়ের হাসানের নিকট কর্মসৃজন প্রকল্পের অনুমোদিত প্রকল্প সমূহের তালিকা ও বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি নাম জানতে চাইলে তিনি জানান, জনপ্রতিনিধিরা এখনো প্রকল্পের তালিকা দেননি।
প্রকল্প চিহ্নিত করা না হলে কিভাবে কর্মসৃজন প্রকল্পের কাজ শুরু করা হয় জানতে চাইলে উপজেলা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ছেনুয়ারা বেগম জানান, তিনি কর্মসৃজন প্রকল্পের উপদেষ্টা হওয়া স্বত্ত্বেও ২য় পর্যায়ে কর্মসৃজন প্রকল্প বাস্তবায়নের ব্যাপারে তার সাথে কোন আলোচনা করা হয়নি এবং এ নিয়ে কোন উন্নয়ন সভা বা গৃহীত প্রকল্পের অনুমোদন নেওয়ার গরজবোধ করেননি কর্মকর্তারা।