স্টাফ রিপোর্টার, পেকুয়া।
পেকুয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেমকে নির্যাতনের প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিকেলে পেকুয়া চৌমুহনী চত্ত্বরে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাফর আলম। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, পেকুয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম, কক্সবাজার জেলা যুবলীগের সহসভাপতি জিএম আবুল কাশেম, পেকুয়া সদর আওয়ামীলীগের সভাপতি আজম খাঁন, মহিলা আওয়ামীলীগ নেত্রী উম্মে কুলসুম মিনু, পেকুয়া উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. বারেক, সৈনিকলীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম হিরু, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি কফিল উদ্দিন বাহাদুর, প্রজন্মলীগের সভাপতি মোকতার আহমদ, ছাত্রলীগের সাবেক নেতা বেলাল উদ্দিন মিয়াজি, কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি জয়নাল আবেদিন।
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামীলীগের নেতা সাংবাদিক জহিরুল ইসলাম, ফরিদুল আলম, মফিজুর রহমান, তোফাজ্জল করিম, শাহ জামাল, টৈটং ইউপি চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি ওসমান গনি, সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন, উপজেলা সৈনিকলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ফারুক, উপজেলা প্রজন্মলীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইসমাইল, পেকুয়া সদর স্বেচ্ছাসেবকলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ আলী হোসেন প্রমুখ।
গত ৩১ মার্চ অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে পেকুয়া জিএমসি ইনষ্টিটিউশন ভোটকেন্দ্রের বাইরে র্যাব-বিজিবির গুলি ও লাঠিচার্জে গুরুতর আহত হয়েছিলেন আবুল কাশেম। দীর্ঘ ১০ দিন চিকিৎসা শেষে গতকাল তিনি পেকুয়ায় যান।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, প্রশাসনের ভেতরে থাকা বিএনপি জামায়াতের দোসরেরা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদককে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি ও লাটিচার্জ করেছে। কিন্তু তাঁরা জানে না বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কোনো কর্মীকে আঘাত করে কেউ ঠিকতে পারে না। চার কর্মকর্তার ইন্ধন ও প্রত্যক্ষ নেতৃত্বে বিএনপি-জামায়াতের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে কাশেমের ওপর হামলা করা হয়।
হামলার সঙ্গে বিজিবির সিও আনোয়ারুল আজিম, র্যাবের উপ-পরিচালক মো. মহসিন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোজাম্মেল হক ও ডিএসবির এএসপি চাইলাউ মারমা প্রত্যক্ষভাবে জড়িত।
প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ আওয়ামীলীগের জ্যেষ্ঠ নেতারা কাশেমকে নির্যাতনের ভিডিও দেখেছেন। তাঁরা দোষী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
এ কারণে পেকুয়ার সর্বস্তরের মানুষকে ধর্য্য ধরতে হবে।
বক্তারা আরও বলেন, বিএনপির কাছ থেকে মোটাংকের উৎকোচ নিয়ে প্রশাসনের চারজন বিপথগামী কর্মকর্তা সাত ইউপির আওয়ামীলীগের প্রার্থীদের হারানোর মিশনে ছিলেন। একারণে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদককে প্রকাশ্যে রাস্তায় ধরে পিঠিয়ে আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীদের মনোবল ভেঙে দিয়েছে। আমরা তাঁদের শাস্তি চাই।
এর আগে বিকেল তিনটায় সাড়ে চার শতাধিক গাড়ির বহর নিয়ে আবুল কাশেমকে পেকুয়া উপজেলার সীমান্ত এলাকা পহরচাঁদা সেতু থেকে পেকুয়া চৌমুহনীতে নিয়ে আসেন আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীরা।
পেকুয়া চৌমুহনীর সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি পেকুয়া বাজারে গিয়ে শেষ হলে সেখানে পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতারা পথসভায় বক্তব্য দেন।