নঈম আল ইস্পাহান, রামু।
মিশু নওরিন কে অনেকভাবে বুঝালো সে তাকে খুব ভালোবাসে।তাকে ছাড়া সে বাচঁতে পারবেনা।নওরিনের জন্য মিশু সব ছাড়তে রাজি।কিন্তু নওরিন বার বার মিশুর প্রেমকে তার আবেগ বলে উড়িয়ে দিল।সে বলল,আজ আবেগী হয়ে এত লাফালাফি করছো।কাল তোমার সে আবেগ থাকবেনা।এসব বয়সের দোষ।আর আমি দেখেশুনে কারো আবেগের শিকার হতে পারিনা।
মিশুর বাবা অনেক বড় লোক।খুব রাগী।তিনি যা বলেন তার বাইরে কিছু করার সাধ্য কারো নেই।মিশু তার বাবাকে যমের মত ভয় পায়।মিশু জানে নওরিন কে যদি তার জীবনে পেতেই হয় তাহলে পালিয়ে বিয়ে করা ছাড়া উপায় নেই।কেননা,তার বাবা কখনো এইসব প্রেম বা প্রেমের বিয়ে মেনে নিবেনা।
মিশু নওরিন কে শেষবারের মত বলল,আমি তোমাকে সত্যি অনেক ভালবাসি।সত্যি, তোমাকে ছাড়া বাচঁবনা।তোমার জন্য আমি যে কোন কিছুই করতে রাজি।তুমি যা বলবে তা করব।সারাজীবন অনেক ভালোবাসব।কখনো কষ্ট দিবনা।আমার হৃদয়ে শুধু তোমারই নাম লিখা!
নওরীন বলল,সব করতে পারবে? যা বলব?
মিশু বলল,হুম।
যে কোন মূহুর্তে বিয়ে করতে পারবে? আমি প্রেমে বিশ্বাসী না।প্রেম করবে দু-দিন পর ছেড়ে চলে যাবে সেটা হতে পারেনা।আমি বাঙালী মেয়ে।একবার যাকে মন দিব তাকে ছাড়া অন্য কারো কখনোই হতে পারবনা।
মিশু, বিনা চিন্তাভাবনায় বলল, আমি শুধু তোমাকেই বিয়ে করব!
বিকেলবেলা মিশুর সাথে তার বেষ্ট ফ্রেন্ড সিফাতের দেখা হলে সে সিফাতকে বলল:
:-দোস্ত,তোর সাথে কিছু কথা শেয়ার করার ছিল।
:হুম,বল।
:-আচ্ছা দোস্ত, আমি যদি নওরিনকে মানে তোর হবু ভাবীকে বিয়ে করি তাহলে বাবা কী করতে পারে?
:কী করবে মানে?আঙ্কেল যে রাগী, ত্যাজ্য পুত্র করে দিবে।
:-হা হা হা এখন ত্যাজ্য পুত্র করার নিয়ম নেই।
:দোস্ত, কিন্তু তোর ছোট ভাইয়ের নামে সব সম্পত্তি লিখে দেয়ার নিয়ম তো আর উঠে যায়নি!