স্টাফ রিপোর্টার, পেকুয়া।
পেকুয়ার অটোরিকশা চালক মোহাম্মদ হোছাইনকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় বুধবার সকাল ১০ টার দিকে পুলিশ রেজাউল করিম (১৯) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। রেজাউল কাছারী পাহাড় এলাকার মৃত আবু তাহেরের ছেলে ও সিএনজি চালিত অটোরিকশার চালক।
গত ২৭ মার্চ সকালে পেকুয়া উপজেলার টৈটং ইউনিয়নের কাছারী পাহাড় এলাকার ধান খেত থেকে মোহাম্মদ হোছাইনের লাশ উদ্ধার করা হয়। ওইদিন দুপুরে টৈটং বাজার পাড়ার মৃত নজির আহমদের ছেলে আবদুর রহমানকে (২২) গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, মোহাম্মদ হোছাইনকে হত্যার ঘটনায় গত মঙ্গলবার আবদুর রহমানকে পাঁচদিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। তাঁর দেওয়া স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে পুলিশ রেজাউল করিমকে গ্রেপ্তার করে।
আবদুর রহমানের বরাত দিয়ে পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়া মোহাম্মদ মোস্তাফিজ ভুঁইয়ােআমাদের রামু ডটকমকে বলেন, মোহাম্মদ হোছাইন সিএনজি চালিত অটোরিকশার চালক। ২৬ মার্চ রাত ১০ টার দিকে ভাড়ার কথা বলে মোহাম্মদ হোছাইনকে পাহাড়ি এলাকায় নেওয়া হয়। এ সময় অটোরিকশাটি ছিনতাই করতে আবদুর রহমানসহ তিন যুবক মোহাম্মদ হোছাইনকে গলায় রশি পেঁচিয়ে হত্যার চেষ্টা চালায়। এতে মৃত্যু নিশ্চিত না হওয়ায় গলা কেটে হত্যা করা হয়। পরে লাশটি কাছারী পাহাড় সংলগ্ন ধান খেতে ফেলে দেওয়া হয়। এরপর হঠাৎ অটোরিকশাটি বিকল হয়ে পড়লে রাত দেড়টার দিকে ফোন করে আরেকটি অটোরিকশার চালক রেজাউল করিমকে কাছাড়ী পাহাড় এলাকায় আনা হয়। ওই সময় রেজাউল করিমকে চালক মোহাম্মদ হোছাইনকে হত্যার কথা জানান আবদুর রহমান। রেজাউল করিমকে জানানো হয়, অটোরিকশাটি বাঁশখালীর একটি গ্যারেজে বিক্রি করা হবে। বিক্রির টাকা সবাই ভাগ-বাটোয়ারা করবেন। পরে রেজাউল ভোর পাঁচটা পর্যন্ত চেষ্টা করেও অটোরিকশাটি সচল না হওয়ায় চারজনই অটোরিকশাটি ফেলে পালিয়ে যান।
ওসি মোস্তাফিজ বলেন, অটোরিকশাটি ছিনতাই করতেই চালক মোহাম্মদ হোছাইনকে হত্যা করা হয়। রেজাউল করিম হত্যার ঘটনায় জড়িত না থাকলেও পুরো বিষয়টি জানার পরও তিনি কাউকে বলেননি। এ ছাড়া অন্য দুইজনকে ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। রেজাউল করিম গত বুধবার দুপুরে চকরিয়া জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
এদিকে অটোরিকশা চালক মোহাম্মদ হোছাইন হত্যাকান্ডে আবদুর রহমান ও রেজাউল করিম নামের দুইজন গ্রেপ্তার হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন পেকুয়া-মগনামা-বরইতলী সিএনজি, অটোরিকশা, টেম্পু শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি নাছির উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ বারেক।