স্টাফ রিপোর্টার, পেকুয়া।
ভুমিকম্পের সময় পেকুয়া উপজেলার টৈটং ইউনিয়নের হাজিবাজার-মধুখালী সড়ক ধসে পড়েছে। এতে গত দুইদিন ধরে মধূখালীর সঙ্গে অন্যান্য স্থানের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, গত বুধবার রাতে সারাদেশে শক্তিশালী ভুকম্পন অনুভুত হয়। সৃষ্ট শক্তিশালী ভুকম্পনের প্রভাবে টৈটং ইউনিয়নের পাহাড়ি ওই গ্রামীন সড়কের প্রায় ৩০মিটার বিলীন হয়েছে। এদিকে সড়ক ধসে যাওয়ায় পুর্ব টৈটং এলাকার জনজীবনে চরম দূর্ভোগ দেখা দিয়েছে।
যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন থাকায় হাজীবাজার টৈটং বাজার ও বনকানন ষ্টেশনের সাথে এসব এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা থেমে গেছে। ফলে পাহাড়ি অঞ্চল থেকে উৎপাদিত শত শত টন কৃষিজাত পণ্য অবিক্রিত অবস্থায় রয়েছে। সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকায় পরিবহন সংকটের কারনে স্থানীয় অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
টৈটং এলাকার স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ভুকম্পনের আঘাতে হাজীবাজার টু মধুখালী সড়কের ছনখোলারজুম পয়েন্টে ফজল কবিরের দোকানের নিকট প্রায় ৩০ মিটার সড়কে ধসে পড়ে পাহাড়ি ছড়ায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সোনাইছড়ির প্রবাহমান ছড়ায় ওইস্থানে গভীর খাদে পরিনত হয়। দীর্ঘদিন ধরে ওই স্থানে সড়কটি ঝুকিপূর্ণ হয়। আর ওই দিন সৃষ্ট তীব্র ভুকম্পনের ঝাকুনিতে সড়কের বিপুল অংশ ছড়ার খাদে পড়ে। এদিকে স্থানীয়রা যাতায়াতের জন্য পার্শ্বে লাগোয়া ৩০ ফুট বিকল্প সড়ক সংস্কারের জন্য উদ্যোগ নিয়েছেন। যান চলাচল ও জনসাধারণের যাতায়াতের জন্য ফজল কবিরের দোকানের পাশে বিকল্প সড়ক তৈরি করে। তবে সরকারের রিজার্ভ ভুমির ওই জায়গা প্রভাবশালীদের মালিকানাধীন দাবি করায় স্থানীয়দের সাথে তাদের বিরোধ দেখা দিয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে, পুরাডিয়া এলাকার আনু মিয়ার ছেলে আতা উল্লাহসহ ৪/৫জনের দূবৃর্ত্তরা বিকল্প সড়ক নির্মাণে বাধা দিয়ে আসছে।
স্থানীয় ৪নং ওয়ার্ড আ.লীগের সভাপতি কবির আহমদ ও সাধরন সম্পাদক এলাহাদাদ জানিয়েছেন, এসড়কটি দিয়ে ৬/৭ গ্রামের হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করে। কিন্তু অল্প অংশ বিলীন হওয়ায় দূর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। আমরা ৮/৯ফিট জায়গা ওই ব্যক্তিদের জনস্বার্থে ছেড়ে দিতে অনুরোধ করেছি।
৫নং ওয়ার্ড আ.লীগের সাধারন সম্পাদক রবিউল আলম বলেন, সড়কটি ভুকম্পনের কারণে ধেবে গেছে। আমরা এলাকাবাসি প্রশাসনের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করছি। যাতে জনদূর্ভোগ লাঘব করা হয়।
এব্যাপারে টৈটং ইউপির নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, আমি গতকাল সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়েছি। বিকল্প সড়ক সৃষ্টি না হলে মানুষের যাতায়াত বন্ধ হয়ে অবরুদ্ধ হওয়ার উপক্রম দেখা দিয়েছে। জনসাধারণ চলাচল উম্মুক্ত রাখতে সামান্য অংশ বিকল্প সড়কের জন্য খুলে দিতে হবে।