সোয়েব সাঈদ, রামু।
কক্সবাজারের রামুতে মা ও শিশু মৃত্যুর হার কমানোর লক্ষ্যে মিডওয়াইফদের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিল (বিএনএমসি) এর গ্রাজুয়েশন সম্পন্নকারি ৩ জন নারী মিডওয়াইফ রামুর প্রত্যন্ত অঞ্চলে নিরাপদ প্রসব ও প্রসব পরবর্তী সময়ে মা ও শিশুর সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করবে। রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মিলনায়তনে মিডওয়াইফদের পরিচিতি সভায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বুধবার সকাল ১০ টায় মিডওয়াইভস প্রজেক্ট এর আওতায় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় ও ব্র্যাকের স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও জনসংখ্যা কর্মসূচির আয়োজনে এ পরিচিতি সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিনা কাজী।
উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জসীম উদ্দিন মো. ইউছুফ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. চিন্ময় বড়ুয়া, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক মো. জসিম উদ্দিন ফেরদৌস ও রামু উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ছালামত উল্লাহ।
ব্র্যাকের স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও জনসংখ্যা কর্মসূচির সিনিয়র জেলা ব্যবস্থাপক মো. ইয়াছিন মিয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সূর্যের হাসি ক্লিনিকের ব্যবস্থাপক খন্দকার দেলোয়ার হোসেন, হোপ ফাউন্ডেশনের পিসি সনিতা মজুমদার, স্বাস্থ্য পরিদর্শক ইনচার্জ বিপ্লব বড়ুয়া, দৈনিক ইত্তেফাক এর রামু সংবাদদাতা দর্পণ বড়ুয়া, রামু প্রেস ক্লাবের অর্থ সম্পাদক সোয়েব সাঈদ, মিডওয়াইফ সাজিয়া নাসরিন শাম্মি, তাহেরা আকতার তনু ও সুপলি বড়ুয়া বক্তব্য রাখেন।
সভায় মিডওয়াইফদের কর্মকান্ড তুলে ধরা হয়। সভায় জানানো হয়, বাংলাদেশে মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যু এবং রোগাক্রান্ত হওয়ার হার কমিয়ে আনার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী ২০১০ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের বিশেষ অধিবেশনে ২০১৫ সালের মধ্যে ৩ হাজার দক্ষ ও প্রশিক্ষিত মিডওয়াইফ তৈরির অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। এরই আওতায় প্রতিটি ইউনিয়নে ২ জন করে মিডওয়াইফ নিয়োজিত থাকবে। শুরুতে রামু উপজেলায় ৩ জন মিডওয়াইফ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে কাজ শুরু করেছে। পরবর্তীতে ধারাবাহিকভাবে প্রতিটি ইউনিয়নে মিডওয়াইফ নিয়োজিত থাকবে।