শাহারীয়ার ওয়াহেদ
গর্জনিয়া, রামু।
গ্রীষ্মকালে খাঁ খাঁ করা
রৌদ্র নাকাল পুর,
রৌদ্র ঝরে কাটাফাটা
রৌদ্রতাপে দুপুর।
কাল বৈশাখী ঝাপ্টা মারে
লক্ষ মুকুল ঝরে,
বৈশাখ মাসে আম-কাঁঠালে
বাগান গেছে ভরে ।
বর্ষা যেন কাল মেঘে
নিভে সূর্য দৃষ্টি,
ঝর-ঝর-ঝর, ঝর-ঝর-ঝর,
পড়ে রাতে দিনে বৃষ্টি।
আষাঢ়-শ্রাবণ জলের ধারা
জমে জমে বান,
বানের জলে পলল ফেলে
কৃষক ভাইয়ের গান।
শরৎকালে অল্প ঠান্ডা
গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি,
কাশফুল আর চন্দ্রতারায়
রাতের আকাশ মিষ্টি।
আকাশ জুড়ে ঠান্ডা আমেজ
সাদা মেঘের ভেলা,
ভাদ্র-আশ্বিন ঘুরে বেড়ায়
হঠাৎ বৃষ্টির খেলা ।
হেমন্তময় সোনার ধানে
সারা বাংলা ভরা,
মনের রঙ্গে , খুশীর ঢঙ্গে ,
কৃষক ভাইয়ের ধরা।
বুক বাধেঁ কৃষক ভাইয়া
গাহে নব গান,
অগ্রাহায়ণে কৃষক ভাইয়া
কাটে সোনার ধান ।
শীতের সময় সারা বাংলা
কুয়াশায় যায় ভরে,
শীতের পিঠা, খেজুর মিঠা,
বানায় ঘরে ঘরে,
ভোরের রবি ঘুমিয়ে পড়ে
কুয়াশা লেপে মুড়ি,
খড়-বিছালী জ্বেলে বুড়ো
ভাগায় হীম বুড়ী।
বসন্ত বুঝি আগুন লাগায়
সারা বাংলাময়,
ফুলে ফলে ভরে যায়
কোকিল ডাকের জয়।
সবুজ-শ্যামল, রং-বেরং,
নেইকো রুপের শেষ,
এ আমার জন্মভূমি
ষড় ঋতুর দেশ ।