সোয়েব সাঈদঃ
রামু উপজেলার কাউয়ারখোপ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পাওয়ায় এলাকার হাজার হাজার জনতার ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন কাউয়ারখোপ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ও জেলা বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি ও সাবেক ইউপি সচিব শফিউল আলম।
বুধবার ২৭ এপ্রিল বিকালে তিনি রামু পৌঁছলে কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের প্রত্যন্ত এলাকার হাজার হাজার জনতা ও দলীয় নেতাকর্মী বাদ্যযন্ত্র সহকারে গাড়ি বহর নিয়ে শফিউল আলমকে স্বাগত জানান।
এসময় গাড়ির বহর থেকে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শফিউল আলম রাস্তার দু’পাশে দাঁড়িয়ে থাকা জনগনের সাথে সালাম ও শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
শোডাউন শেষে বিকাল পাঁচটায় কাউয়ারখোপ বাজারে আয়োজিত পথসভায় চেয়ারম্যান প্রার্থী শফিউল আলম নৌকা প্রতীক লাভ করায় জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহ দলের সর্বস্তুরের নেতাকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, সকলের প্রচেষ্টায় নৌকা প্রতীক পেয়েছেন। এখন সকলের দায়িত্ব তাকে নির্বাচিত করে আধুনিক, সেবা ও জনকল্যাণমূলক ইউনিয়ন গড়ার সুযোগ দেয়া।
কাউয়ারখোপ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের আহবায়ক মোঃ হোসাইনের সভাপতিত্বে ও যুগ্ন আহবায়ক সাইফুল ইসলামের সঞ্চালনায় সমাবেশে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দের মধ্যে আলী আহমদ, ওবাইদুল হক, তারেক আহমদ, হারুনুর রশিদ প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।
এসময় কাউয়ারখোপ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ সহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ সহ ইউনিয়নের হাজার হাজার জনতা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশন আগামী ২৮ মে পঞ্চম ধাপে রামুর কাউয়ারখোপ সহ ৫টি ইউনিয়নে নির্বাচনের তপশীল ঘোষনা করে। এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে লড়তে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক দলীয় নৌকা প্রতীকে একক প্রার্থী হিসেবে শফিউল আলমকে মনোনয়ন প্রদান করেছেন।
এর আগে গত ৬ মার্চ কাউয়ারখোপ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় শফিউল আলমকে তৃণমূল নেতারা সমর্থন প্রদান করেন।
শফিউল আলম ১৯৭২ সালে রামু খিজারী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। তিনি চাকরিকালীন সময়ে রাজনীতিতে দলীয় পদে সক্রিয় না হলেও ২০০৮ সালের সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের পক্ষে ইউনিয়নের সমন্বয়কারির দায়িত্ব পালন করেন।
২০০৯ সালে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সোহেল সরওয়ার কাজলের পক্ষে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচনে কাউয়ারখোপ কচ্ছপিয়া, গর্জনিয়ায় তিনটি ইউনিয়নে সমন্বয়কারির দায়িত্ব পালন করেন এবং আওয়ামীলীগসহ সহযোগী সংগঠন চাঙ্গা রাখতে আর্থিক সহযোগিতা করেছেন। পরবর্তীতে তিনি অবসর নেয়ার পর রাজনীতিতে সক্রিয় হন।