সিনেমার শুরুটাই আপনার দেখা অসংখ্য মুভির সাথে মিলে যাবে।এর পরের দৃশ্যায়ন গুলো আপনাকে স্টার জলসা,জি-বাংলার সিরিয়ালের মত ফিলিংশ দিবে।তার পর নায়কের ছ্যাঁকা।এরপর বাবা-মায়ের পছন্দে বিয়ে।বিয়ের রাতে আবার ছেঁকা!বিয়ে করা বউয়ের প্রেমিক ছিল।তাকে ছোতে পারবেনা অঙ্কুশ।ছোলে দেহ পাবে মন পাবেনা।অতঃপর,অঙ্কুশ ছোবেনা।ঠিক হয় ডিবোর্স হবে।কিন্তু,ছমাস একসাথে থাকবে।
এই ছয়মাসে নায়কের কেয়ারিং,শেয়ারিং,ফাইটিং দেখে নায়িকা আস্তে আস্তে ফিদা হয়ে যাবে।তার আগের প্রেমিক কে ভুলতে শুরু করবে।আর সন্দেহের অবকাশ রাখেনা,আগের প্রেমিক একজন খারাপ ছেলে ছিল সে বিষয়টা।সে নায়িকার বাবার কাছ থেকে টাকা নিয়েছে নায়িকাকে ডিষ্টার্ব করবেনা বলে।কিন্তু,নায়িকা তার বাবাকে ভুল বুঝে।অবশ্য পরে যখন আগের প্রেমিক ফেইক প্রমাণিত হয়,তখন নায়িকা তার বাবার নিকট ক্ষমা চায়।বাবা-মেয়ে বৃষ্টিতে ভিঁজে কাঁদতে কাঁদতে।
সিনেমায় ভিলেন বলতে একমাত্র কিছু ইভটিজার আর প্রেমিকার আগের প্রেমিককে বুঝানো হয়েছে।যাদের উভয়কে নায়ক তুলোধুনো করে।
শেষ দৃশ্যায়নে নায়িকা সব ছেড়ে বিদেশ চলে যাবে পড়ালেখার জন্য।আর কখনো আসবেনা।সে নায়ককে ভালোবাসে।নায়ক নায়িকাকে।নায়ক তাকে থাকতে বলছেনা।বললেই,থেকে যেত।তারা দুজনেই বিদায় নিলো।নায়িকা এয়ারপোর্টে চলে গেল সব সিনেমার মত।নায়কের মনে হলো তাকে আটকানো দরকার।যা হবার হলো।সে হোন্ডাতে ছোটতে শুরু করলো।পথিমধ্যে গুন্ডার সাথে ফাইট!
অবশেষে এয়ারফোর্টে আইন ভেঙে প্র্বেশ।পুলিশের ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয়া সবকিছু অন্য দশটা ফিল্মেরই কপি।শুধু নায়ক পরিবর্তন!
অতঃপর,হতাশ হয়ে বসে কান্নাকাটি করে এদিক সেদিক তাকানো।তাকাতে তাকাতে নায়িকাকে দেখা।সে যায়নি।যেতে পারেনি ছেড়ে তার ভালোবাসার মানুষকে ছেড়ে।দুজনের শেষ আলিঙ্গন।এবং,মুভি শেষ!
গল্পের লেখক পরিচালক নিজে।ওনার,লাষ্ট মুভি ছিল “জামায় ৪২০”
হুবহু ওই মুভির মত অনেক গুলো দৃশ্যায়ন লক্ষণীয়।অভিনেতা,অভিনেত্রীরা ও আগের মুভির।তাদের বাবার,ওকিলের,মাস্তানের ভূমিকার সবাই আগের মত সেইম।এক কথায়,স্ক্রিপ্ট টা পুরোই কপি করা।পরিচালক,নিজেই তার আগের অনেকগুলো ছবির দৃশ্যায়ন জমা করে মুভিটি বানিয়েছে।ভালো লাগার মত কোন দৃশ্যই নেই।জোর করে হাসানোর চেষ্টাটা ছিল বরাবরেই।
যাক,যাই হোকনা কেন এটা একটা মুভি।দেখতে পারেন সময় কাটানোর জন্য।তবে,ভালো কিছু পাবেন আশা করাটা ভুল।