শহিদুল ইসলাম, উখিয়া।
উখিয়া উপজেলায় আসন্ন ইউপি নির্বাচনে আওয়ামীলীগ বিএনপির একক প্রার্থী চুড়ান্ত করলেও উভয় দলের বিদ্রোহী প্রার্থীরাও প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। উপজেলার ৫ টি ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের প্রার্থীরা হচ্ছেন, রাজাপালং ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, জালিয়াপালংয়ে এস এম ছৈয়দ আলম, পালংখালী ইউনিয়নে শাহাদাৎ হোসেন জুয়েল, রত্নাপালং ইউনিয়নে নুরুল হুদা ও হলদিয়াপালং ইউনিয়নে মন্ত্রি পরিষদ সচিব সফিউল আলমের ছোট ভাই শাহ আলম।
বিএনপি থেকে চুড়ান্ত মনোনয়ন পেয়েছেন রাজাপালং ইউনিয়ন থেকে বিএনপি নেতা সাহ কামাল চৌধুরী, পালংখালী ইউনিয়ন থেকে হেলাল উদ্দিন, রত্নাপালং ইউনিয়ন থেকে নুরুল কবির চৌধুরী, জালিয়াপালং ইউনিয়ন থেকে নুরুল আমিন চৌধুরী, হলদিয়াপালং ইউনিয়ন থেকে এস এম শামশুল আলম বাবুল।
এ ছাড়াও রত্নাপালং ইউনিয়নে জেলা বিএনপির সদস্য খাইরুল আলম চৌধুরী, আব্বাস উদ্দিন, হলদিয়াপালং ইউনিয়ন থেকে আওয়ামীলীগ নেতা আমিনুল হক আমিন, মাহবুবু আলম চৌধুরী, ইমরুল কায়েস চৌধুরী ও পালংখালী থেকে সাবেক জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আলী আহম্মদ দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে তারা সতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে মাঠে রয়েছেন।
আগামী ৪ জুন ৬ ধাপে এ উপজেলার ৫ টি ইউনিয়নের নির্বাচন অনুষ্টিত হবে বলে উপজেলা নির্বাচন অফিসার মোঃ নুরুল ইসলাম জানিয়েছেন।
এই এলাকায় ভোটারের সংখ্যা ১ লক্ষ ১৮ হাজার ১৬ জন। তৎমধ্যে পুরুষের সংখ্যা ৫৯ হাজার ৮ শ ৭৪, মহিলা ভোটার ৫৮ হাজার ১শ ৪২ জন।
জানা গেছে, চেয়ারম্যান প্রার্থীরা মনোনয়ন সংগ্রহ করতে গিয়ে উপজেলা নির্বাচন অফিসের সহকারী মাহবুবুর রহমানের নিকট হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
নিয়ম বহির্ভুত ভাবে একজন চেয়ারম্যান প্রার্থীর নিকট থেকে সাড়ে ৫ হাজার থেকে ৬ হাজার টাকা পর্যন্ত নিচ্ছেন।
সাধারণ মেম্বার প্রার্থীদের নিকট থেকে দেড় হাজার টাকা ও সংরক্ষিত মহিলা আসনের নারী সদস্যদের নিকট থেকে নিচ্ছেন আড়াই হাজার টাকা করে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাচন অফিসার নুরুল ইসলাম জানান, এত টাকা নেওয়ার বিধান নেই। প্রতি প্রার্থীদের নিকট থেকে একটি ভোটার সিডি বাবদ ৫ শ টাকা নিতে পারবেন। ফরমের জন্য যে ৫শ টাকা করে নিয়েছে তা অন্যায় করেছে।