হাফিজুল ইসলাম চৌধুরী :
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে এসএসসি পরীক্ষায় এবার পাশের হার ৮৪ দশমিক ৩৪ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে চার জন শিক্ষার্থী। অন্যদিকে দাখিলে পাশের হার ৯৫ দশমিক ০৫ শতাংশ। সূত্র মতে, নাইক্ষ্যংছড়ি ছালেহ আহমদ সরকারি উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া রামুর গর্জনিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিলো ৯৭ জন। তৎমধ্যে কৃতকার্য হয়েছে ৮১ জন ছাত্র-ছাত্রী। যেখানে এ গ্রেড পেয়েছে ১০ জন শিক্ষার্থী। কচ্ছপিয়া উচ্চবিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিলো ৩১ জন। তৎমধ্যে কৃতকার্য হয়েছে ৩০ জন ছাত্র-ছাত্রী। যেখানে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন এবং এ গ্রেড লাভ করেছে ৯ জন শিক্ষার্থী।
নাইক্ষ্যংছড়ি মাধ্যমিক বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিলো ৫৫ জন। তৎমধ্যে কৃতকার্য হয়েছে ৪৬ জন। যেখানে এ গ্রেড পেয়েছে ৫ জন শিক্ষার্থী। ছালেহ আহমদ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিলো ৯৩ জন। তৎমধ্যে কৃতকার্য হয়েছে ৮৩ জন। যেখানে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ জন আর এ গ্রেড পেয়েছে ১৯ জন শিক্ষার্থী। বাইশারী উচ্চ বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিলো ৮৮ জন। তৎমধ্যে কৃতকার্য হয়েছে ৬৭ জন। যেখানে এ গ্রেড পেয়েছে ৪ জন শিক্ষার্থী।
অন্যদিকে নাইক্ষ্যংছড়ি মদিনাতুল উলুম মডেল ইনস্টিটিউট দাখিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে দাখিল পরীক্ষায় অংশ নেওয়া অত্র মাদ্রাসার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিলো ৩৩ জন। তৎমধ্যে শতভাগ কৃতকার্য সহ ১৪ জন শিক্ষার্থী এ গ্রেড পেয়েছে। চাকঢালা মহিউচ্ছুনা দাখিল মাদ্রাসার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিলো ১৬ জন। তৎমধ্যে কৃতকার্য হয়েছে ১৩ জন। যেখানে এ গ্রেড পেয়েছে ২ জন শিক্ষার্থী। বাইশারী শাহনূর উদ্দীন দাখিল মাদ্রাসার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিলো ২৫ জন। তৎমধ্যে কৃতকার্য হয়েছে ২২ জন। যেখানে এ গ্রেড পেয়েছে ৯ জন শিক্ষার্থী। ঘুমধুম মিশকাতুন নবী দাখিল মাদ্রাসার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিলো ৩৭ জন। তৎমধ্যে শতভাগ কৃতকার্য সহ এ গ্রেড লাভ করেছে ১৫ জন শিক্ষার্থী।
রামুর গর্জনিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এ.এইচ.এম মনিরুল ইসলাম আমাদের রামু ডটকমকে জানিয়েছেন, গণিত এবং তিন পার্বত্য জেলায় পাসের হার বাড়ার কারণে সামগ্রিক ফলাফলে এর প্রভাব পড়েছে। গত বছর মাধ্যমিকে প্রথমবারের মতো সৃজনশীল চালু হওয়ায় তখন গণিতে ফলাফল খারাপ হয়েছিল। এবার তা কাটিয়ে উঠেছে শিক্ষার্থীরা।