কয়েক বছর আগে থেকে পরিকল্পনা ছিল রামু থেকে একটা ম্যাগাজিন প্রকাশ করার। ভিজিটিং কার্ডও প্রকাশ করে ফেলেছিলাম। কিন্তু অনভিপ্রেত রামু সহিংসতার পর থেকে আমি আর এই কাজে হাত দিতে পারিনি। তাছাড়া একজন ভিক্ষু হিসেবে একটি সার্বজনীন ম্যাগাজিন সম্পাদনা ও প্রকাশ করার মত কাজ চালিয়ে যেতে পারব কিনা তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগেছি। একই সাথে রামুতে একটা নিয়মিত, দায়িত্বশীল এবং আপসহীন প্রকাশনার প্রয়োজনীয়তাও উপলব্ধি করেছি প্রতিনিয়ত। এই দুইয়ের দোলাচলে এক পর্যায়ে দৃঢ় সংকল্প করতে বাধ্য হলাম। এরই ফসল ‘আমাদের রামু’ পত্রিকার প্রথম সংখ্যা।
একই সাথে রামুর প্রতি মুহূর্তের খবরাখবর পাঠকদের কাছে তোলে ধরতে পত্রিকাটির অনলাইন সংস্করণ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে আমরা আরো বেশি কাজ করার ক্ষেত্র সৃষ্টি করা হল বলে মনে করছি।
পত্রিকার নামকরণ ‘আমাদের রামু’ রেখেছি দেশের অন্যান্য খবরের পাশাপাশি রামুর উন্নয়ন, সমস্যা ও সম্ভাবনার কথা বেশি বেশি তুলে ধরব বলে।
এলাকার উন্নয়ন ও সম্ভাবনার কথা তুলে ধরলে কারও বিরাগভাজন হয়তো হব না, কিন্তু সমস্যার কথা লিখলে সমাজের অনেকের চক্ষুশূল হওয়ার আশঙ্কা থেকেই যায়। এই আশঙ্কা সত্ত্বেও এই কাজে হাত দিয়েছি। তবে এ কথা নির্দ্বিধায় বলতে পারি, এই পত্রিকা কারও চরিত্রহনন কিংবা লেজুড়বৃত্তি করবে না।
রামুর উন্নয়নকামী ও এর অধিবাসীদের জন্য দরদি হয়ে যারা কাজ করবেন এই ম্যাগাজিন এবং অনলাইন পোর্টাল সবসময় তাদের পাশে থাকবে।
‘আমাদের রামু’ সবার মতামতকে গুরুত্ব দিতে অঙ্গীকারবদ্ধ। সব প্রবন্ধের বিষয়ের সাথে একমত প্রকাশ না করলেও মতপ্রকাশের ক্ষেত্র হিসেবে একে যথাসম্ভব উন্মুক্ত রাখার চেষ্টা থাকবে। লেখকের অভিমত একান্ত তার, পত্রিকা সেই অভিমতের দায়ভার গ্রহণ করবে না।
‘আমাদের রামু’ ত্রৈমাসিক ম্যাগাজিন হলেও পাঠকের চাহিদা ও ঘটনাপ্রবাহের কথা বিবেচনা করে আমরা এর অনলাইন সংস্করণ করেছি। পত্রিকার মানোন্নয়নে সকলের সহযোগিতা, পরামর্শ এবং গঠনমূলক সমালোচনা কামনা করছি।
প্রজ্ঞানন্দ ভিক্ষু
সম্পাদক
“আমাদের রামু”
(ত্রৈমাসিক ম্যাগাজিন)
“আমাদের রামু ডটকম”
(অনলাইন পোর্টাল)