২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির নীতিমালা জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ২৬ মে থেকে আগামী ৯ জুন পর্যন্ত ভর্তির আবেদন করতে হবে। এবার ভর্তি-ইচ্ছুক একজন শিক্ষার্থী এক আবেদনেই ১০টি কলেজ পছন্দক্রম দিতে পারবে। গতবার পাঁচটি কলেজ পছন্দক্রম দেওয়ার সুযোগ ছিল।
গতকাল বৃহস্পতিবার জারি করা নীতিমালাটি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে। গত বুধবার এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশের পরদিন নীতিমালা জারি হলো। তবে নীতিমালাটি চূড়ান্ত হয় গত সোমবার।
এবারও অনলাইন ও মুঠোফোনে খুদে বার্তা পাঠিয়ে আবেদন করা যাবে। অনলাইনে আবেদন করতে হবে www.xiclassadmission.gov.bd ঠিকানায়। অনলাইনে আবেদনের জন্য ১৫০ টাকা এবং খুদে বার্তার জন্য ১২০ টাকা ফি দিতে হবে।
আবেদনের পর ১৬ জুন ভর্তির মেধাতালিকা প্রকাশ করা হবে। ১৮ থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত ভর্তি কার্যক্রম চলবে। তবে বিলম্ব ফি দিয়ে আগামী ১০ থেকে ২০ জুলাই পর্যন্ত ভর্তি হওয়া যাবে। এবার ক্লাস শুরু হবে ১০ জুলাই।
ভর্তির জন্য এবারও কোনো বাছাই পরীক্ষা হবে না। এসএসসি ও সমমানের ফলের ভিত্তিতে ভর্তি করা হবে। এ ক্ষেত্রে যদি কারও জিপিএ (ফল) সমান হয়, তাহলে প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে মেধাক্রম ঠিক করা হবে।
নীতিমালা অনুযায়ী, ৮৯ শতাংশ আসন সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। বাকি ১১ শতাংশ কোটার মধ্যে এবার প্রথমবারের মতো প্রবাসীদের সন্তান ও বিকেএসপি থেকে আসা শিক্ষার্থীদের জন্য দশমিক ৫ শতাংশ করে কোটা রাখা হয়েছে।
ভর্তিতে কোথায় কত টাকা ফি লাগবে:
মফস্বল ও উপজেলা সদরের পৌর এলাকায় সেশনচার্জসহ ভর্তি ফি সব মিলিয়ে শিক্ষার্থীপ্রতি ১ হাজার টাকা
জেলা সদরের পৌর এলাকায় ২ হাজার টাকা
ও ঢাকা ছাড়া বাকি অন্যান্য মহানগর এলাকায় ৩ হাজার টাকার বেশি নেওয়া যাবে না।
ঢাকা মহানগর এলাকায় এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা নেওয়া যাবে।
তবে ঢাকা মহানগরের আংশিক এমপিওভুক্ত ও এমপিওভুক্ত নয় এমন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন ও নন-এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন দেওয়ার জন্য ভর্তির সময় সেশনচার্জসহ ভর্তি ফি সব মিলিয়ে সর্বোচ্চ ৯ হাজার টাকা
এবং এ ধরনের ইংরেজি ভার্সন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা নেওয়া যাবে।
তবে উন্নয়ন ফি ৩ হাজার টাকার বেশি নেওয়া যাবে না।
[প্রথম আলো]