আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
দীর্ঘ দিনের পশুবলি প্রদানের প্রথার বিরুদ্ধে সরকারি আদেশ জারি করেছে শ্রীলঙ্কা।
শ্রীলঙ্কার হিন্দু রিলিজিয়াস অ্যাফেয়ার্স মিনিস্টার গত বুধবার দেশটির মন্দিরগুলিতে পশুবলি বন্ধ করার নির্দেশিকা জারি করেন।
দীর্ঘদিন ধরেই পশুবলির বিরুদ্ধে সেদেশে প্রতিবাদ চালিয়ে আসছেন সংখ্যাগরিষ্ঠ বৌদ্ধ ও আধুনিক মনস্ক হিন্দুরা। শেষ পর্যন্ত তাঁদের দীর্ঘদিনের বিরোধিতা আলোর মুখ দেখলো।
ভারতের মতো শ্রীলঙ্কার বিভিন্ন হিন্দু মন্দিরে দীর্ঘদিন ধরে পশুবলির প্রথা চালু রয়েছে। তবে বৌদ্ধ মতে এই প্রথা ধর্ম বিরুদ্ধ। কোনও পশুর প্রাণের বিনিময়ে ঈশ্বর সাধনা সম্ভবপর নয় বলেই তাঁদের মত। ফলে বরাবরই হিন্দু মন্দিরগুলিতে এই পশুবলির বিরোধিতা করত শ্রীলঙ্কার সংখ্যালঘু হিন্দুরা। পাশাপাশি, ভারতের মতো শ্রীলঙ্কাতেও বহু হিন্দু বসবাস করেন। একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়ে আধুনিক হিন্দুরাও মনে করেন পশুবলি মহাপাপ। ফলে বৌদ্ধদের মতো তাঁরাও এই প্রথার বিরোধী।
জানা গেছে, শ্রীলঙ্কার জনসংখ্যার প্রায় ১২ শতাংশ হিন্দু। এখনও অনেক হিন্দু মন্দিরে নির্বিচারে গরু বা পাঁঠার মতো নিরীহ প্রাণীদেরকে বলির হাঁড়িকাঠে চড়ান হয়। বাদ যায় না বিভিন্ন পাখিও। দীর্ঘদিন ধরে যার বিরোধিতা করে আসছেন পশুপ্রেমীরা। তাঁদের মতে, এরফলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয়। পাশাপাশি, পশু আইন লঙ্ঘন হচ্ছে।
সূত্রের খবর, এই পথরোধে ইতিমধ্যে আইন তৈরির প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছে শ্রীলঙ্কার আইন বিভাগ।