বিবিসি বাংলা:
বাংলাদেশের পার্বত্য জেলা বান্দরবানে বৌদ্ধ বিহারে ঢুকে এক ভিক্ষুকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনার পর এলাকার মানুষের মধ্যে এখন আতঙ্ক কাজ করছে।
স্থানীয় চাক সম্প্রদায়ের একজন নেতা চৌ চিন চাক বিবিসি বাংলাকে এমনটাই জানিয়েছেন। এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, এ ধরনের একটি ঘটনায় তারা সবাই অবাক, ধারণাও করতে পারেন না এমন একটা ঘটনা তাদের এলাকায় ঘটেছে।
তিনি বলেন, এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পর এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক কাজ করছে।
বান্দরবান জেলার নাইক্ষংছড়ি উপজেলার দুর্গম এক পাহাড়ি গ্রামে একটি বৌদ্ধ বিহারে ঢুকে ভিক্ষু উ দেমা উয়াছাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয় ।এ ধরনের ঘটনা কি কারণে ঘটতে পারে- সে বিষয়েও কোনও ধারণা করতে পারছেন না স্থানীয় লোকজন।
এর আগে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে পাদ্রী হত্যা কিংবা পুরোহিত হত্যার ঘটনা ঘটেছে, এটিও কি তার একটি ঢেউ কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন “নিশ্চিত করে কিছুই বলতে পারছিনা। জঙ্গী সংশ্লিষ্টতা বা আগের কোনও কিছুর সাথে মিল কিনা এ বিষয়ে বলা মুশকিল”।
ভিক্ষু উ দেমা উয়াছা ছিলেন নাইক্ষংছড়ি উপজেলা সদর থেকে ২০-২৫ কিলোমিটার দূরবর্তী বাইশারি থানার উপর চাকপাড়া গ্রামের চাক নির্বাণ বৌদ্ধ ক্যাংয়ের প্রধান ভিক্ষু বা ভান্তে।
শনিবার সকালে তার পুত্রবধূ তার জন্য খাবার নিয়ে গিয়ে দেখতে পান ক্যাংয়ের ভিতরে তার রক্তাক্ত মৃতদেহ পড়ে আছে।