ক্রীড়া ডেস্কঃ
বাঁ হাতের কনিষ্ঠ আঙুল থেকে যে পরিমাণ পুঁজ আর দূষিত রক্ত বের করা হয়েছে, তাতে সাকিব আল হাসান নিজেই ঘাবড়ে গিয়েছিলেন। শঙ্কায় ছিলেন আঙুলের সংক্রমণ আবার না হাড়ে ছড়িয়ে পড়ে। তবে মেলাবোর্নের হাসপাতালের রিপোর্ট অনুযায়ী, ইনফেকশন নিয়ন্ত্রণে আছে।
মঙ্গলবার মেডিকেল রিপোর্ট দেখে সাকিব বিসিবির চিকিৎসক দেবাশিষ চৌধুরীকে এমনটাই জানিয়েছেন। তবে এখনই হাসপাতাল ছাড়তে পারছেন না জাতীয় ক্রিকেট দলের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক। কারণ আরও সাত দিন ওই হাসপাতালে চলবে চিকিৎসার কোর্স। এই সাতদিনে অ্যান্টিবায়োটিক ইনজেকশন নিতে হবে তাকে। এরপর ডাক্তার গ্রেগ সাকিবের পরবর্তী করণীয় জানিয়ে দেবেন।
তারপরই দেশে ফিরতে পারবেন বলে আশা করছেন সাকিব। তিনদিন পর্যবেক্ষণে থাকার পর দেখা গেছে, সাকিবের আঙুলের চামড়া উঠতে শুরু করেছে। ক্ষত স্থানটি শুকিয়ে যাচ্ছে। ক্ষত শুকাতে শুরু করলেও আগামী তিন মাস সাকিবকে ব্যাট ধরতে মানা করেছেন চিকিৎসক।
যদি তিন মাসের মধ্যে আঙুলে আর কোনো ব্যথা অনুভব না করেন, তাহলে হয়তো আর অস্ত্রোপচারের প্রয়োজনও হবে না।
এদিকে মঙ্গলবার সাকিবের ইন্জুরি নিয়ে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানান, এশিয়া কাপে খেলার জন্য সাকিবকে চাপ দেওয়া হয়নি, ‘সাকিবকে ফোর্স করা হয়নি, সে নিজে থেকেই খেলেছে। ডাক্তার ও ফিজিওর পরামর্শ নিয়েই খেলেছে।’