লাইফস্টাইল ডেস্কঃ
কান দিয়ে অনেকেরই পানি, পুঁজ পড়ে থাকে কিংবা কান পাকা রোগ হয়ে থাকে। কানে তুলনামূলক কম শোনা, মাথা ঘোরানো, কানে শোঁ শোঁ শব্দ করা। এতে করে পোহাতে হয় নানা রকম দুর্ভোগ। বাংলাদেশের মতো অন্য উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এই রোগটি বেশি লক্ষ্য করা যায়। দারিদ্র্য, অপুষ্টি, স্বাস্থ্য সচেতনতা ও স্বাস্থ্য শিক্ষার অভাবসহ বিভিন্ন কারণকে এজন্য দায়ী করা হয়। এই রোগটি যে কোনো বয়সে এবং নারী-পুরুষ সবাই আক্রান্ত হতে পারে। তবে শহরবাসীর তুলনায় গ্রামের মানুষের এই রোগটি বেশি হয়।
কান পাকা রোগটি মূলত দুই ধরনের— সেফ টাইপ বা টিউবোটিমপেনিক টাইপ। সাধারণত এটাতে তেমন কোনো জটিলতা দেখা যায় না। এ ছাড়া আনসেফ টাইপ বা এটিকোএন্ট্রাল টাইপ। এ ধরনের কান পাকা রোগ থেকে মারাত্মক জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। যেমন— ব্রেইন এবসেস, ম্যানিনজাইটিস, এনসেফালাইটিস, ফেসিয়াল প্যারালাইসিস ইত্যাদি।
অযথা কান খোঁচাবেন না, ম্যাচের কাঠি, মুরগির পাখনা, ক্লিপ, নখ ইত্যাদি দিয়ে কান চুলকাবেন না। রাস্তাঘাটে যেখানে-সেখানে কান পরিষ্কার করানোর জন্য বসে পড়বেন না। গোসলের সময় অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যাতে কোনোভাবেই কানে পানি প্রবেশ করতে না পারে। প্রয়োজনে ইয়ারপ্লাগ দিয়ে গোসল করবেন। পুকুরে বা নদীতে ডুব দিয়ে গোসল করবেন না। ফ্রিজের পানি, আইসক্রিম, ঠাণ্ডা পানীয় ইত্যাদি পরিহার করে চলবেন।
সর্দি, কাশি, ঠাণ্ডা জ্বর, নাক বন্ধ, গলা ব্যথা হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলবেন। কোনো সমস্যা হলে শুরুতেই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন, ভালো থাকুন।