ক্রীড়া ডেস্কঃ
আগের দিনই খেলেছেন জাতীয় ক্রিকেট লিগে। বলে-ব্যাটে আলো ছড়িয়েছেন খুলনার হয়ে। পরদিন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিলেন বিসিবি একাদশকে। দাপুটে ব্যাটিংয়ে করলেন সেঞ্চুরি, আভাস দিলেন সেরা ছন্দে ফেরার। নিজেকে খুঁজে ফেরা বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের কাছে ম্যাচ জেতানো এই সেঞ্চুরি বিশেষ কিছু।
বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে প্রস্তুতি ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে ৮ উইকেটে হারায় বিসিবি একাদশ। তিনে নেমে অপরাজিত ১০২ রানের ঝকঝকে এক ইনিংস খেলেন সৌম্য।
ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের সৌম্য জানান, বড় ইনিংস খেলার চেয়েও তার নজর বেশি ছিল ক্রিজে বেশি সময় কাটানোর দিকে।
“এখানে ভালো করে আমি রিলিফ হবো তেমন কোনো চিন্তা ছিল না। আমি খেলছিলাম জাতীয় ক্রিকেট লিগে। সেখান থেকে এসে এখানে খেলা, এটা অন্য ফরম্যাট। চেষ্টা ছিল উইকেটে থাকার। দেখতে চেয়েছিলাম কতক্ষণ উইকেটে থাকতে পারি। আজকে সুযোগই তেমন ছিল, লক্ষ্য খুব একটা বড় ছিল না।”
টানা চার দিন মাঠে থাকার পর একটি জাতীয় দলের সঙ্গে ম্যাচ খেলা সহজ নয়।
“শারীরিক দিক থেকে একটু কঠিন ছিল। মানসিক দিক থেকে অন্যভাবে প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। রাতের মধ্যে যতটুকু সম্ভব রিকভারি করে খেলা যায় সেই চেষ্টা ছিল। সকাল বেলায়ও একটা জার্নি ছিল। সে সব মাথায় না নিয়ে চেষ্টা করেছি যতটা স্বাভাবিক খেলা খেলা যায়। ঠিক করেছিলাম, যতক্ষণ সুস্থ থাকব বা শরীর পারমিট করবে প্রপার ক্রিকেট খেলব।”
জাতীয় ক্রিকেট লিগের প্রথম রাউন্ডে করেন অপরাজিত সেঞ্চুরি। তৃতীয় রাউন্ডে দুই ম্যাচে খেলেন সত্তর ছাড়ানো ইনিংস। সঙ্গে আবার এক ইনিংসে নেন ৫ উইকেট। এবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে করলেন সেঞ্চুরি। সৌম্যর সেরা ছন্দে ফেরার আভাস।
“ছন্দে আছি এমন না। রান করলে তো অবশ্যই সবার ভালো লাগে। চেষ্টা করেছি বেশি সময় ক্রিজে থেকে ব্যাটিং করার।”
“একটা সময় চিন্তা ছিল যে, বাইরে আছি দলে ফিরতে আমাকে ভালো করতে হবে। এখন চেষ্টা করি যে, তেমন কোনো চিন্তা না করে নিজের খেলাটা খেলতে।”
সেঞ্চুরির পর সৌম্যর উদযাপনে ছিল চাপ থেকে মুক্তির স্পষ্ট ছাপ। সেই উদযাপন আর এই ম্যাচ খেলার পেছনের গল্পটা শোনালেন সৌম্য।
“একশ তো একশই। একশ করলে তো আনন্দ হবেই।… সেঞ্চুরি তো অবশ্যই স্পেশাল। কিছু একটা ত্যাগ করে কিছু একটা পাওয়া তো অবশ্যই স্পেশাল।”
“প্রথমে তো এই খেলা আছে জানতামই না। খুলনাতেই ছিলাম, পরিকল্পনা ছিল (সাতক্ষীরায়) বাড়িতে যাব। হঠাৎ করে যখন বলা হল খেলতে হবে। প্রথমে একটু খারাপ লেগেছিল। অনেক দিন পর একটা ছুটি পেয়েছিলাম সেটাও মিস। আবার চিন্তা করলাম, যেহেতু খেলতেই হবে এসব চিন্তা না করাই ভালো। মনোযোগ দিয়ে খেলাই ভালো। সেই চেষ্টাই করেছি।”