লাইফস্টাইল ডেস্কঃ
মৃত্যু চিরন্তন। যেকোন বয়সে যে কারও মৃত্যু হতে পারে। তারপরও যারা পরিণত বয়স পর্যন্ত বেঁচে থাকেন তাদের জীবন নিয়ে নানা ধরনের আফসোস থেকে যায়। তবে আপনি জীবনের যেই পর্যায়েই থাকুন না কেন তা নিয়ে আফসোসের কিছু নেই। কারণ অতীতের ঘটনা নিয়ে আফসোস করলে তা দুঃখ ছাড়া কিছুই দেবে না আপনাকে। সময়, পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার নামই জীবন। ভাবতে হবে জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপই নতুন সম্ভাবনা নিয়ে আসবে।গবেষণায় দেখা গেছে, বৃদ্ধ বয়সে মৃত্যুর কাছাকাছি হলে কিছু বিষয় নিয়ে মানুষ আফসোস করে । সেগুলি হচ্ছে-
১. বেশিরভাগ মানুষই জীবন সায়াহ্নে এসে আফসোস করে এই ভেবে ইস, যদি নিজের ইচ্ছা মতো জীবনটা কাটাতে পারতাম। বেশিরভাগ মানুষই জীবনের স্বপ্নগুলো পূরণ করতে পারে না। মৃত্যুর কাছাকাছি এসে তখন বারবারই সেইসব স্বপ্নের কথা মনে হয়।
২. ব্যস্ত জীবনে মানুষ সারাদিন কাজ আর অর্থের পেছনে ছোটে।এতে সে পারিবারিক সান্নিধ্য থেকেও দূরে থাকে।সন্তানদের বেড়ে ওঠাও সে ঠিকমতো অনুভব করতে পারে না।বাবা-মায়ের সঙ্গেও তৈরি হয় দুরত্ব। জীবনের একটা পর্যায়ে এসে তখন তার মনে হয়, এত কাজ না করে পরিবারকে সময় দেওয়া উচিত ছিল।
৩. অনেকে নিজের আবেগ দমিয়ে রাখেন শান্তি বজায় রাখার জন্য। এ কারণে তারা যাকে যা বলতে চান বা প্রকাশ করতে চান তা কখনও করতে পারেন না। এতে তাদের অনেক শারীরিক ও মানসিক অসুস্থতাও তৈরি হয়। জীবনের শেষ প্রান্তে এসে তাই অনেকের মনে হয়, যদি নিজের অনুভূতিগুলো প্রকাশ করার সাহস থাকত।
৪. মৃত্যুর কাছাকাছি এসে পুরনো বন্ধুদের জন্যও আফসোস হয় অনেকের।কারও কারও মনে হয়, দিনের পর দিন বন্ধুদের সময় দেওয়া হয়নি ব্যস্ততার কারণে। অথচ তারা কতবার কতভাবে ডেকেছে।
৫. সবসময়ে কী নেই তার পেছনে ছুটতে থাকে মানুষ। কিন্তু কী আছে, সেটা হয়তো বুঝে ওঠার আগেই বেঁচে থাকার সময় ফুরিয়ে যায়। জীবনের শেষ প্রান্তে এসে তাই ফেলে আসা অপ্রাপ্তিগুলো নিয়ে আফসোস করে তারা। সূত্র : হাফপোষ্ট