লাইফস্টাইল ডেস্কঃ
এই একটি অভ্যাস হাড় শক্ত করবে, শক্তি বাড়াবে আর শরীরিক গঠন ঠিক রাখতেও সাহায্য করবে।
স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে দৌড়ানোর বিশেষ কিছু উপকারিতার বিষয় উল্লেখ করা হয়।
– ব্যায়ামাগারে ব্যয়াম করতে হলে প্রথম শর্ত হল সদস্য হওয়া। আর এর জন্য একসঙ্গে বেশ কিছু টাকা খরচ করতে হবে। তাছাড়া ব্যায়ামের বিভিন্ন ধরনের জন্য বিভিন্ন পরিমাণে টাকা ব্যয় করতে হয়। কিন্তু সব বাদ দিয়ে ভালো এবং আরামদায়ক এক জোড়া জুতা পায়ে দিয়ে নিয়ম করে দৌড়ানোর অভ্যাস গড়ে তুললেই ওজন রাখা যাবে নিয়ন্ত্রণে। অন্যদিকে বাড়তি খরচের টাকাগুলোও বেঁচে যাবে।
– দৌড়ানোর ফলে প্রাণশক্তি বৃদ্ধি পায় এবং কর্মক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।
– হৃদপিণ্ড সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে এই সাধারণ অভ্যাস।
– যাদের সারাদিনের বড় একটা সময় বসে কাজ করতে হয় বা শারীরিক পরিশ্রম কম হয়ে থাকে তাদের জন্য দৌড়ানো অত্যন্ত উপকারী। দৌড়ালে শরীরের প্রতিটি পেশি সচল থাকে। বসে কাজ করার ফলে হাত, পা, হাঁটু ইত্যাদি সন্ধিস্থলে ব্যথা উপশমেও দৌড়ানো বেশ উপকারী।
– দিনের শুরুতে দৌড়ানোর ফলে সারাদিন কর্মক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি দিন শেষে শরীরের বিশ্রামের প্রয়োজনও বৃদ্ধি পাবে। তাই দৌড়ানোর ফলে ঘুম ভালো হবে।
– মস্তিষ্কে সেরোটনিনের পরিমাণ বেড়ে গেলে মানসিক চাপ এবং হতাশা বেড়ে যেতে পারে। নিয়মিত ব্যয়ামের ফলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং হতাশার পরিমাণ কমে।
– নিয়মিত দৌড়ানো এটি শুনতে বেশ কষ্টকর মনে হতে পারে। তবে এই অভ্যাস শরীর সুস্থ রাখবে এবং কার্যক্ষমতাও বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে।
– নিয়মিত দৌড়ালে শারীরিক অনেক অসুখ বিসুখ থেকেও মৃক্তি পাওয়া যাবে।
– দৌড়ানোর ফলে খাবার খাওয়ার সময় ক্যালোরির পরিমাণ নিয়ে মাথা ঘামানোর প্রয়োজন হবে না। তাছাড়া এই ধরনের ব্যায়ামের পর মন ভরে খাবার খেতেও তেমন কোন বাঁধা থাকবে না। ফলে মনও ভালো থাকবে।
– একঘেঁয়েমি কাটাতে বেশ উপকারী অভ্যাস দৌড়ানো। এ ব্যায়ামের জন্য কোনো নির্দিষ্ট স্থানের দরকার নেই। অর্থাৎ নিজের মন মতো জায়গা বেছে নেওয়া যেতে পারে দৌড়ানোর জন্য। তাই প্রতিদিনের একঘেঁয়েমি কাটানো যায় সহজেই। তাছাড়া হজম প্রক্রিয়া সচল রাখতে সাহয্য করে দৌড়ানো।
– দীর্ঘায়ু হতে চান! তবে সব থেকে উপকারী অভ্যাস দৌড়ানো। দৌড়ালে শরীর কর্মক্ষম এবং সুস্থ থাকে, ফলে দীর্ঘদিন সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে পারবেন।
– ব্যয়ামের মূল উদ্দেশ্য বাড়তি ওজন ঝেড়ে ফেলা। প্রতিদিন এক ঘণ্টা দৌড়ালে প্রায় আটশ ক্যালোরি ঝরে পড়বে শরীর থেকে।
– ত্বক উজ্জ্বল করতে সাহায্য করবে দৌড়ানো অভ্যাস। শুনতে অবাক লাগলেও এটি সত্যি। দৌড়ানোর ফলে প্রচুর পরিমাণে ঘাম হয়, যা লোমকূপ পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। লোমকূপ পরিষ্কার হওয়ার ফলে ত্বকের স্বাভবিক তেল নিঃসৃত হতে পারে ভালোভাবে। তবে দৌড়ানোর পরে ভালোভাবে ঘাম মুছে পরিষ্কার হতে হবে।
– দৌড়ানোর ফলে এনডরফিন হরমোনের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। এই হরমোন মন ভালো রাখতে সাহায্য করে।
– আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে এই সাধারণ অভ্যাস। প্রতিদিন দৌড়ানোর পরিমাণের সঙ্গে নিজের আত্মবিশ্বাসও বৃদ্ধি পাবে।