চকরিয়া প্রতিনিধি:
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার উপকূলীয় বৃহত্তর বদরখালী ইউনিয়ন বেশিরভাগ টমটম চালক কম বয়সী। মহাসড়কে গাড়ী চালানোর ন্যূনতম ধারনা নেই। যার ফলে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট বড় দূর্ঘটনা। এছাড়া কম বয়সী এসব টমটম চালকরা গাড়ীতে উচ্চস্বরে গান বাজিয়ে অনেক সময় ইভটিজিংসহ সাধারণ মানুষকে খুব বিব্রত করে বলে জানান সচেতন মহল।
বদরখালীর বাসিন্দা এক আইনজীবী বলেন, গত সপ্তাহে টমটমে করে যাওয়ার পথে টমটমটি আরেকটি গাড়ীর সাথে ধাক্কা লাগলে আমরা সবাই রাস্তায় পড়ে গিয়ে মোটামুটি আহত হই। আমার মতে, চালকটি খুবই কম বয়সী। সে নিয়ম কানুন কিছুই বুঝে বলে আমার মনে হয়নি। ডা: আলমগীর হোসেন বলেন, টমটম রাস্ততে চলুক সেটা ঠিক আছে কিন্তু এত বেশি টমটম যা অস্বাভাবিক। আমার মতে বদরখালীতে ধারনক্ষমতার ৩/৪ গুন বেশি টমটম এখন রাস্তায় চলাচল করছে। আর সবচেয়ে মূল সমস্যা হচ্ছে বেশিরভাগ চালক খুবই কম বয়সী। তারা কোন অভিজ্ঞতা ছাড়াই রাস্তাতে গাড়ী চালাচ্ছে।
আলাপকালে বদরখালী ফুলকলি ব্যবসায়ী সেলিম বলেন, টমটম চালকদের সবচেয়ে বড় সমস্য হচ্ছে তারা খুবই কম বয়সী। তারা গাড়ীতে অনেক উচ্চস্বরে গান বাজায়, যার ফলে অনেক সাধারণ মানুষ খুবই বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে যায়। বিশেষ করে গাড়ীতে যখন মেয়েরা উঠে তখন আরো বেপরোয়া হয়ে গাড়ী চালায়। এর ফলে দূর্ঘটনা বেড়ে যায়। আবার কিছু কিছু যুবক আছে এসব টমটমে করে মেয়েদের ইভটিজিং করে। আমার মতে টমটমে কোনভাবে গান বাজনার সুযোগ থাকা উচিত নয়।
এ প্রসঙ্গে টমটম চালক করিম নামে এক যুবক বলেন, আমার অনেক বন্ধু টমটম চালায় তাদের দেখা দেখি আমিও টমটম চালাই। কোথাও প্রশিক্ষণ নেয়নি স্বীকার করে সে জানায়, আমার বয়স এখনো ১৬ আমি অন্যদের দেখাদেখি টমটম নিয়ে রাস্তায় নেমে পড়ি। এখন ভালই চালাচ্ছি।
এত কম বয়সী কিশোররা টমটম নিয়ে কিভাবে মহাসড়কে আসে, এর দায় কর্তৃপক্ষ এড়াতে পারেননা।