আমাদের রামু রিপোর্ট :
রামুর গর্জনিয়ায় গত ২৭ মে ভোটের আগের রাতে হামলার শিকারের পর নিহত নৌকার সমর্থক মঞ্জুরুল আলমের দাফন স্থানীয় কবরস্থানে সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার ৩০ মে রাত সাড়ে নয়টায় ইউনিয়নের স্কুলমুড়া গ্রামে তাঁর জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা নামাজে ইমামতি করেন, স্থানীয় মাওলানা আজিজুল হক।
এর আগে মঞ্জুরুলের লাশ ময়না তদন্ত শেষে চট্রগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (চমেক) থেকে নিজ এলাকায় পৌঁছলে মৃতদেহ দেখে স্বজন ও গ্রামবাসির মধ্যে কান্নার রুল পড়ে। মঞ্জুরুলের মৃতদেহ গ্রামে আনা হয়েছে এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে আত্মীয়স্বজন, আশপাশের লোকজন একনজর দেখতে ছুটে আসেন। এ সময় তাঁদের কান্নায় ভারী হয়ে উঠে আকাশ। নিকট আত্মীয়দের কান্নায় সৃষ্টি হয় হৃদয় বিদারক দৃশ্যের। কারো চোখে জল আর থেমে রইলনা।
সকলেরই দাবী এ ধরণের নেক্কারজনক ঘটনার যেন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়। জানাজা নামাজের সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে গর্জনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান তৈয়ব উল্লাহ চৌধুরী বলেন, মঞ্জুরুল কেন হামলার শিকার হলো আর কেনই বা তাঁকে শহীদ হতে হলো তা আপনারা সকলেই জানেন। তাঁর গরিব পরিবারকে আমি যতটুকু পারি আর্থিক সহযোগিতা করবো। আপনাদেরকেও এগিয়ে আসতে হবে।
মঞ্জুরুলের শাশুড় আবু শাহমা বলেন, এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার হতে হবে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি। জানাজা নামাজে গর্জনিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি মুজিবুর রহমান বাবুল চৌধুরী, আলহাজ্ব নাজের-নূর ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মুহিবুল্লাহ চৌধুরী জিল্লু, সামাজিক উদ্যোক্তা শাহারীয়ার ওয়াহেদ সহ নানা শ্রেণী পেশার শত শত লোকজন অংশ নেন।
উল্লেখ্য, গর্জনিয়ার ৮ নং ওয়ার্ডের স্কুলমুড়া গ্রামের মৃত মোহাম্মদ হোসেনের পুত্র মঞ্জুরুল আলম (৩০) ২৯ মে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২৭ মে ভোটের আগের রাতে গর্জনিয়ার চেয়ারম্যান তৈয়ব উল্লাহ চৌধুরীর বাড়িতে হামলা করেন বিদ্রোহী প্রার্থী সৈয়দ নজরুল ইসলামের লোকজন। হামলাকারীরা যাওয়ার পথে নৌকার সমর্থক মঞ্জুরুল আলমকে গণপিটুনি দেন। এতে তিনি মাথা সহ গুরুতর আহত হন। আহত মঞ্জরুলকে প্রথমে কক্সবাজার সদর হাসাপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে ২৮ মে তাকে চট্রগ্রামে রেফার করা হয়।এক দিনের ব্যবধানে লাশ হয়ে ফিরেন মঞ্জুরুল।