আমাদের রামু রিপোর্ট :
রামুর গর্জনিয়ায় গত ২৭ তারিখ নির্বাচনের আগের দিন রাতে নৌকার সমর্থক ছিলো বলেই হামলার শিকার হয়েছিলেন মনঞ্জুরুল আলম। হামলাকারীরা নৌকার সমর্থক মঞ্জুরুল আলমকে গণপিটুনি দেন। এতে তিনি মাথা সহ গুরুতর আহত হন। আহত মঞ্জুরুলকে প্রথমে কক্সবাজার সদর হাসাপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে ২৮ মে তাকে চট্টগ্রামে রেফার করা হয়। এক দিনের ব্যবধানে লাশ হয়ে ফিরেন মঞ্জুরুল। মঞ্জুরুল (৩৫) ইউনিয়নের স্কুলমুড়া গ্রামের মৃত মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তাঁর স্ত্রী ও দুই সন্তানের জননী সলিমা খাতুন বলেন, ভোটের আগেরদিন রাতে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তৈয়ব উল্লাহ চৌধুরীর বাড়িতে হামলা ও লুটপাটের খবর মসজিদের মাইকে প্রচার হলে মঞ্জুরুল নৌকার কার্ড গলায় ঝুলিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়। সাথে আমিও ছিলাম। চেয়ারম্যানের বাড়ির সামনে যাওয়ার পর আমরা হামলাকারীদের সামনে পড়ে যাই। এসময় গলায় নৌকার কার্ড দেখা মাত্রই সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ও তাঁর লোকজন মঞ্জুরুলকে গণপিটুনি দেন।
মনঞ্জুরুল নাকি নজরুলের সমর্থক ছিল প্রতিবেদকের এমন প্রশ্নের উত্তরে সলিমা খাতুন বলেন, সেটা ভুল। কারণ কক্সবাজার সদর হাসপাতালে আমার স্বামীকে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার সময় নজরুলের আহত ৪ জন কর্মীও চিকিৎসাসেবা নিয়েছে। কিন্তু নজরুল তাঁদের যাবতীয় খরচ বহন করলেও আমার স্বামী নৌকার সমর্থক ছিলো বলে একটি টাকাও দেয়নি। শুরু থেকেই মনঞ্জুরুলের চিকিৎসার খরচ বহন করেছে তৈয়ব উল্লাহ চৌধুরী। কিন্তু মারা যাওয়ার পর নজরুলের লোকজন চট্টগ্রামে দেখা করতে যায়। আমাকে কয়েক লাখ টাকা দেওয়ার আশ্বাস সহ বিভিন্ন প্রলোভনে ফেলে তাঁদের পক্ষে অবস্থান নেওয়ার চেষ্টা চালায়। কিন্তু আমি আমার অবস্থানে অনড় থেকেই সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নিকট ন্যায় বিচার কামনা করছি।
এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য অভিযুক্ত সৈয়দ নজরুল ইসলামের ব্যক্তিগত মুঠোফোন নম্বরে (০১৮৬৩১১৩৩৫৫) বার বার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। তাই তাঁর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।