সোয়েব সাঈদ:
পাবনার হিমায়েতপুরে শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকুলচন্দ্র কেন্দ্রিয় সৎসঙ্গ আশ্রম এর সহঃপ্রতিঃঋত্বিক নিত্যরঞ্জন পান্ডেকে দৃষ্কৃতিকারি কর্তৃক নৃশংসভাবে হত্যার প্রতিবাদে কক্সবাজারের রামুতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ১৯৭১ সালে সনাতনী সম্প্রদায় সহ সকল ধর্মের মানুষের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন, সংগ্রাম ও রক্তের বিনিময়ে এদেশ স্বাধীন হয়েছিলো। কিন্তু সেই স্বাধীন দেশে এখন হিন্দু ধর্মীয় পুরোহিত, বৌদ্ধ ভিক্ষু, মুক্তমনা লেখকসহ ভিন্ন ধর্ম ও মতের মানুষকে নৃশংস কায়দায় ধারাবাহিকভাবে হত্যা করা হচ্ছে।
পাবনার হিমায়েতপুরে শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকুলচন্দ্র কেন্দ্রিয় সৎসঙ্গ আশ্রম এর সহঃপ্রতিঃঋত্বিক নিত্যরঞ্জন পান্ডেকে দৃষ্কৃতিকারি কর্তৃক নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনা তারই ঘৃ্ণ্য দৃষ্টান্ত। এ ধরনের হত্যা দেশের সনাতনী সম্প্রদায়ের মানুষকে হতবাক ও শোকাহত করেছে। এভাবে একের পর এক হত্যাকান্ড চলতে থাকলে এ দেশে সনাতনী সম্প্রদায়ের মানুষের বসবাস করা দূরহ হয়ে পড়বে। তাই অনতিবিলম্বে নিত্যরঞ্জন পান্ডে হত্যায় জড়িতদের কঠোর ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।
রবিবার, ১২ জুন বেলা আড়াইটায় রামু চৌমুহনী স্টেশন চত্বরে এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে, শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকুলচন্দ্র সৎসঙ্গ আশ্রম রামু উপজেলা শাখা।
সংগঠনের সভাপতি সুশান্ত পাল বাচ্চুর সভাপতিত্বে ও উদীচী শিল্পীগোষ্ঠি রামু উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক তাপস মল্লিকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধন সমাবেশে রামু সৎসঙ্গ আশ্রমের পুরোহিত ডা. বিনয় কৃষ্ণ ধর, রামু সর্বজনীন কেন্দ্রিয় কালী মন্দিরের পুরোহিত সজল ব্রাক্ষ্মণ চৌধুরী, অবসরপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও রামু উপজেলা সৎসঙ্গ আশ্রমের প্রধান উপদেষ্টা ডা. দুলাল পাল, রামু সর্বজনীন কেন্দ্রিয় কালী মন্দিরের উপদেষ্টা প্রিয়তোষ পাল পিন্টু, সভাপতি রতন মল্লিক, রামু কেন্দ্রিয় সীমা বিহার এর সাধারণ সম্পাদক তরুন বড়ুয়া, অবসরপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা অনিল শর্মা, রামকুট তীর্থধাম পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ সিকদার, রামু উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক তপন মল্লিক, কক্সবাজার জেলা তাতীলীগের সাধারণ সম্পাদক সুজিত বিশ্বাস, সৎসঙ্গ আশ্রম রামু উপজেলা শাখার উপদেষ্টা ডা. আশুতোষ চক্রবর্তী মন্টু, সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ ভট্টাচার্য, কক্সবাজার সৎসঙ্গ আশ্রমের সাধারণ সম্পাদক রাজীব বিশ্বাস প্রমূখ।
মানববন্ধন ও সমাবেশে সৎসঙ্গ আশ্রম কক্সবাজার জেলা ও রামু উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন শাখার নেতৃবৃন্দ ছাড়াও রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠনের নেতাকর্মী ও সনাতনী সম্প্রদায়ের নারী-পুরুষ অংশ নেন।