নিজস্ব প্রতিনিধি:
কক্সবাজারের চকরিয়া পৌর শহরের চিরিংগা পবিত্র রমজান মাসে অধিকাংশ হোটেল-রেষ্টুরেন্টে অবাধে বিক্রি হচ্ছে ভেজালও পচাঁবাসির খাবার।
বিভিন্ন সময় ভ্রাম্যমান আদালতের ভেজাল বিরোধী অভিযান পরিচালিত হলেও দীর্ঘদিন ধরে সেই একই নিয়মে চলে আসছে ভেজাল খাবারের রমরমা ব্যবসা। কাউছার নামে এক যুবক জানান, ওই সব দোকান গুলোতে অমানবিক ভাবে দেদারচ্ছে অস্বাস্থ্যকর খাবার বিক্রির মাধ্যমে ক্রেতাদের প্রতারনা করে যাচ্ছে।
স্যানেটারী ইন্সপেক্টরের কর্মতৎপরতা অনেক গুণের বৃদ্ধি করাসহ ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা সব সময় জরুরী বলে মনে করেন সচেতন মহল।
সরজমিন পরির্দশন করে জানা গেছে, চিরিংগা বাণিজিক এলাকা হওয়ায় পাশ্ববর্তী উপজেলার লোকজন চিরিংগা সওদা করতে আসে প্রতিনিয়িত। তাই এসব হোটেল মুখি হয় তারা। চিরিঙ্গা কাঁচাবাজার সড়ক ও ইসলামী ব্যাংকের পিছনে গড়া উঠা ৫/৬ টি হোটেল রেষ্টুরেন্টের পরিবেশ খুবই অস্বাস্থ্যকর। এসব দোকানের খাদ্য গুলোতে খোলা নোংরা পরিবেশে সেখানে খাদ্য দ্রব্য তৈরি করে বিক্রি হচ্ছে।
দোকান গুলোর রান্না ঘরের, ভেতরে স্যাঁতস্যাঁতে ময়লা, দুর্গন্ধ এবং রান্না করা খাবার গুলো ঢাকা থাকে না, ময়লাও মাছির উপদ্রব কম নয়। রান্নায় ব্যবহ্নত পানি গুলোও বিশুদ্ধ নয়। বসার চেয়ার-টেবিল এবং গ্লাস-জগ অপরিস্কার।
জানা গেছে, ব্যবসায়িক কৌশলগত কারণে পুকুরের পানি ব্যবহার করে যাচ্ছে অধিকাংশই হোটেল। পেকুয়া থেকে ঈদের কেনাকাটা করতে আসা হেলাল জানান, পৌর শহরের চিরিংগা গড়ে উঠা হোটেল রেষ্টুরেন্টে অপরিস্কার পচাঁবাসির খাবার বিক্রি করা হচ্ছে। তাছাড়া স্টাপ বয়দের শারিরীক অপরিচ্ছন্নতা, পোষাক সচেতনতা ও ক্রেতা সার্ভিস অত্যন্ত নাজুক। বে আইনি শিশুশ্রমও আছে।
স্থানীয়রা জানান, সরকারিভাবে বাঁসি খাবার বিক্রিসহ অপরিচ্ছন্নতার আইন থাকলেও তার প্রয়োগ নাই।
সমস্যা নিরসনে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করার প্রয়োজন আছে বলে মনে করেন সচেতন মহল।