এ.এম হোবাইব সজীব:
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারায় সৌদি এক প্রবাসীর বাড়ী ডাকাতির ঘটনাকে কেন্দ্র করে ৩দিন ধরে চলছে ডাকাত আতঙ্ক । এমনকি ডাকাতদের তাড়াতে গিয়ে পুলিশ আর ডাকাতের মধ্যে ২ঘন্টা ব্যাপী গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটলেও ডাকাতদের হামলা থামেনি। চলছে পুরো শান্তিরঘাট ও আশে-পাশের এলাকায় লম্বা বেলাল বাহিনীর আতঙ্ক ।
ডুলাহাজারা ইউনিয়নের শান্তির ঘাট এলাকার বাসিন্দা হাজ্বী নুর মোহাম্মদের পুত্র সৌদি প্রবাসী হাজ্বী আলী আহমদের বাড়ীতে গত ২০ জুন রাতে স্ব-শস্ত্র ডাকাত দল ঘরের দরজা খুলে ভিতরে ঢুকে গৃহকর্তা ও গৃহকর্তার স্ত্রীকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা এবং ২০ ভরি স্বর্ণ সহ বিভিন্ন মালামাল লুঠ করে নিয়ে যায় ।
এ সময় এলাকাবাসী ডাকাতদের ধাওয়া করলে বৃষ্টির মত ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে ডাকাতরা পালিয়ে যায়। ঘটনার পর পর চকরিয়া থানার এক দল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মারাত্মক আহত অবস্থায় গৃহ কর্তা হাজ্বী আলী আহমদ ও তার স্ত্রী হাজ্বী তফুরা বেগমকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে চকরিয়া হাসপাতালে ভর্তি করে। আলী আহমদের অবস্থা আশংকা জনক হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ ঘটনায় গৃহকর্তা আলী আহমদ বাদী হয়ে লম্বা বেলাল, সোনা মিয়া, জাহেদ, নুরুল আজিম, পুতু , নুরুল আমিন, আবুল কাশেম, দেলোয়ার, জাহেদুল ইসলাম, আনছার ও নেজাম উদ্দীনকে আসামী করে চকরিয়ায় থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছে।
এজাহার দায়ের করার পর চিহ্নিত ডাকাতদল ২১ জুন রাতে পুনরায় ঐ বাড়ীতে হামলার প্রস্তুতি নিলে এলাকাবাসীর সাথে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় চকরিয়া থানার পুলিশ ও এলাকাবাসীর সাথে যোগ দিলে ডাকাতদের সাথে পুলিশের মধ্যে ২ ঘন্টা ব্যাপী বন্দুক যুদ্ধ চলে ।
পরে এলাকাবাসী ও পুলিশের যৌথ হামলা থেকে রক্ষা পেতে ডাকাতদল ফাঁকা গুলি বর্ষণ করতে করতে পালিয়ে যায়। পরদিন ২২ জুন সন্ধ্যায় ডাকাত দল পুনরায় জড়ো হয়ে ডাকাত কবলিত বাড়ী ঘেরাও করে চারদিক থেকে বৃষ্টির মত গুলি বর্ষণ করে ভীতির পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। এই সময় আশে-পাশের নারী পুরুষরা ডাকাতদের বাধা দিতে এগিয়ে গেলে ডাকাত আর এলাকাবাসীর মাঝে ঘটে দীর্ঘ ৩ঘন্টা ব্যাপী বন্দুক যুদ্ধ।
এ সংবাদ পেয়ে চকরিয়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতদল পালিয়ে যায়। এককথায় ডুমখালী, কাটাখালী ও শান্তিরঘাট এলাকার লোকজনের আরামের ঘুম হারাম হয়ে গেছে । সেখানে চলছে ডাকাত আতঙ্ক । এমনকি এলাকার নারীরা তাদের কুলের শিশুদেরকে ঘুম পড়াচ্ছে। আসছে লম্বা বেলাল, ঘুম যারে তুই’।
এদিকে এলাকাবাসী ও ডাকাত কবলিত বাড়ীওয়ালা জানান, ডাকাতদল এলাকার প্রভাবশালী লোকদের আত্মীয় স্বজন হওয়ায় পুলিশ সহজে উক্ত এজাহারটি ডাকাতি হিসেবে এন্ট্রি করতে গড়িমসি করছে।
এ ব্যাপারে জানতে চকরিয়া থানার ওসি জহিরুল ইসলাম খানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এ ব্যাপারে বাদী এজাহার দায়ের করেছে। ঘটনার তদন্তও চলছে। আসামীদের গ্রেপ্তারের ব্যাপারেও পুলিশ সাধ্যমত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
শ্