আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ভারতে গঙ্গায় সাঁতার কাটতে নামার আগে সেলফি তুলতে গিয়ে ১৯ বছর বয়সী এক তরুণ পা পিছলে পড়ে যান। তাকে বাঁচাতে গিয়ে তার আরও ছয়বন্ধু একে একে পানিতে তলিয়ে যান।
এনডিটিভি বলছে, বুধবার সন্ধ্যায় গঙ্গায় ডুবে মারা যাওয়া এই সাতজনের মধ্যে একজনের বয়স ৩০-এর বেশি। কিন্তু বাকিদের সবারই বয়স ১৯ থেকে ২৪ বছরের মধ্যে।
বৃষ্টির পর তারা গঙ্গায় সাঁতার কাটতে গিয়েছিলেন বলে কানপুরের সিনিয়র পুলিশ সুপারিন্টেনডেন্ট শলভ মাথুর জানিয়েছেন।
সুপারিন্টেনডেন্ট অব পুলিশ শচিন্দ্র প্যাটেল বলেন, “পানিতে নেমে গোসল করার সময় সেলফি তুলতে গিয়ে পা পিছলে গঙ্গায় পড়ে যান শিবম। একই সঙ্গে গঙ্গায় সাঁতার কাটতে আসা মাকসুদ তা দেখে শিবমকে বাঁচাতে পানিতে ঝাঁপ দেন। কিন্তু তিনিও পানির উচ্চতা এবং ভারীবৃষ্টির ফলে সৃষ্টি হওয়া প্রবল স্রোতের কারণে নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেননি।”
একসঙ্গে সাঁতার কাটতে আসা বাকি বন্ধুরাও একে অপরকে বাঁচাতে একজনের পর অন্যজন পানিতে ঝাঁপ দেন। কিন্তু তারা সবাই তলিয়ে যান বলে শচিন্দ্র জানান।
শচিন্দ্র প্যাটেল বলেন, ডুবুরিদের একটি দল সাতজনের দেহ উদ্ধারের জন্য নিয়োগ করা হয়। দুইঘণ্টা পর সবার দেশ উদ্ধার করা হয়।
কিন্তু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর সবাইকেই মৃত ঘোষণা করা হয়।
মৃত্যুবরণকারী সাতজনের পরিচয় জানা গেছে। তারা হলেন, শচিন গুপ্ত (২১), ভলু তিওয়ারি (২০), রোহিত (২০), শিবম (১৯), মাকসুদ (৩১), ভোলা (১৬), সত্যম (২৪)।
এই ঘটনার তদন্ত হবে বলে জানিয়েছেন সিনিয়র পুলিশ সুপারিন্টেনডেন্ট শলভ মাথুর।
এরআগে মুম্বাইয়ে আরব সাগরের তীরে দাঁড়িয়ে সেলফি তুলতে গিয়ে পা পিছলে পানিতে পড়ে তিন নারীর মৃত্যু হয়েছিল। তাদের বাঁচাতে গিয়ে অপর এক যুবকও মারা যান।
চলন্ত ট্রেনের কাছে দাঁড়িয়ে সেলফি তুলতে গিয়ে চলতি বছরের জানুয়ারিতেই উত্তরপ্রদেশে মারা গিয়েছিলেন তিন কলেজ শিক্ষার্থী।
মার্চে পাঞ্জাবের পাঠানকোটে ১৫ বছরের এক কিশোর তার বাবার গুলিভর্তি পিস্তল নিজের কপালে ঠেকিয়ে সেলফি তুলতে গিয়ে ট্রিগারে চাপ লেগে গেলে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়।
সেলফি তুলতে গিয়ে মৃত্যুর প্রথম ঘটনাটি ঘটে লেবাননে। আর এখন সেলফি তুলতে গিয়ে বিশ্বে যতজন মারা যান, তার প্রায় অর্ধেকই ঘটনাই ঘটে ভারতে।
[বিডিনিউজ]