ঢাকার পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যায় সরাসরি অংশ নেওয়া দুজন চট্টগ্রামের একটি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিচ্ছেন। রবিবার দুপুরের পর ওই দুজনকে আদালতে নেওয়া হয়।
ওই দুজন হলেন, আনোয়ার ও ওয়াসিম। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মিতুকে সরাসরি গুলি এবং হত্যাকাণ্ডে অংশ নেওয়া তিনজনের একজন ওয়াসিম।
রবিবার চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ (সিএমপি) কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশ কমিশনার ইকবাল বাহার।
ওয়াসিম ও আনোয়ার দুজনের বাড়ি চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলায়। তারা পেশাদার অপরাধী।
ইকবাল বাহার বলেন, মোটরসাইকেলে থাকা তিনজনের মধ্যে একজন হচ্ছেন ওয়াসিম। হত্যাকাণ্ডে সক্রিয় অংশ নিয়ে সে মিতুকে গুলি করে।
সিএমপি কমিশনার আরও বলেন, আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত অন্যান্য সহযোগীদের ধরতে পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে। তবে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
এ হত্যাকান্ডে ৭/৮ জন এর একটি সংঘবদ্ধ চক্র জড়িত ছিল বলেও জানান পুলিশ কমিশনার। তবে তদন্তের স্বার্থে কার নির্দেশে , কেন এ হত্যাকাণ্ড তা এই মুহূর্তে বলা সম্ভব হচ্ছেনা বলে জানিয়েছেন পুলিশ কমিশনার। বাবুল আক্তারকে মামলার বিষয়ে আলোচনার জন্য নেওয়া হয়েছিল বলেও জানান তিনি।
মামলার বাদী পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল সম্পর্কে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সিএমপি কমিশনার বলেন, বাবুল আক্তারকে পুলিশের নিরাপত্তায় রাখা হয়েছে, নজরবন্দি নয়।
এছাড়া বাদীর সঙ্গে মামলা নিয়ে দীর্ঘসময় আলোচনা হয়েছে। আরও আলোচনা চলবে। বাদীর সঙ্গে যেকোনও সময় যেকোনও জায়গায় আলোচনা হতে পারে।
উল্লেখ্য, গত ৫ জুন সকালে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় চট্টগ্রামের জিইসি এলাকায় গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন হন মাহমুদা খানম মিতু। হত্যাকারীরা মোটরসাইকেলে এসেছিল।
ঘটনার পর পুলিশ জানায়, জঙ্গি দমনে বাবুল আক্তারের সাহসী ভূমিকা ছিল। এ কারণে জঙ্গিরা তার স্ত্রীকে খুন করে থাকতে পারে। এ ঘটনায় পরদিন বাবুল আক্তার অজ্ঞাতপরিচয় তিন ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা করেন।
[বাংলা ট্রিবিউন]