অনলাইন ডেস্কঃ
মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে আন্তর্জাতিক চাপ প্রয়োগ ও মানবাধিকারবিষয়ক সংগঠনগুলোর তদারকিতে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের জন্য ‘সেফ জোন’ তৈরিতে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশ।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন সোমবার ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর সঙ্গে এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
দুই দেশের দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নিজ নিজ দফতর পাওয়ার পর এটাই তাদের মধ্যকার প্রথম বৈঠক।
ওয়াশিংটনের বাংলাদেশ দূতাবাসের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, বৈঠকে আলোচিত হওয়া অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে ছিল- যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত বঙ্গবন্ধুর খুনিকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনা, মুক্ত ও উন্মুক্তভাবে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল নিয়ে মতবিনিময়, বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ, বাংলাদেশের পোশাক শিল্প যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শুল্ক ও কোটামুক্ত প্রবেশ এবং দু’দেশের বিভিন্ন অংশদারিত্ববিষয়ক খাত।
এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন যুক্তরাষ্ট্রকে জানান, জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা ও সহয়তাকারী সংস্থার সমন্বয়ে বাংলাদেশ নিজস্ব অর্থায়নে এক লাখ রোহিঙ্গাকে স্থানান্তরের জন্য ভাসানচর দ্বীপকে বসবাস উপযোগী করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশকে আশ্বস্ত করে বলেন, বাংলাদেশে আসা মিয়ানমারের ১০ লাখেরও বেশি বাস্তুচ্যুত নাগরিককে কোনো ধরনের ভীতি ও অত্যাচার ছাড়া অবশ্যই মিয়ানমারে ফেরত যেতে হবে।
উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করা মিয়ানমার সরকার ও সামরিক বাহিনীর দায়িত্ব উল্লেখ করে পম্পেও বলেন, যাতে করে তারা (রোহিঙ্গারা) সেখানে ফিরতে (মিয়ানমারে) নিরাপদ বোধ করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশকে পূর্ণ আশ্বাস দিয়ে বলেন, রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের পাশে (রাজনৈতিক ও অর্থনৈতি উভয়ভাবে) থাকবে।
এ সময় নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের সাময়িকভাবে আশ্রয় দিয়ে মানবিকতার পরিচয় দেয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
সূত্র : ইউএনবি