:
রাজধানীর গুলশানে সন্ত্রাসী হামলায় জাপানের নাগরিক নিহত হওয়ার ঘটনায় ঢাকায় আসছেন দেশটির পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সেইজি কিহারা। জাপানের রাষ্ট্রীয় প্রচারমাধ্য এনএইচকে ওয়ার্ল্ড শনিবার এ তথ্য জানিয়েছে।
গুলশানের হোলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে শুক্রবার রাতে সন্ত্রাসীদের হামলার ঘটনায় জাপানের ৭ নাগরিক নিখোঁজ রয়েছেন। তবে হামলার সময় রেস্টুরেন্টে উপস্থিত থাকা অপর এক জাপানের নাগরিককে উদ্ধার করা হয়েছে।
এনএইচকে ওয়ার্ল্ডের খবরে বলা হয়েছে, নিখোঁজ জাপানিদের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে দেশটির দূতাবাসের কার্যক্রমে নেতৃত্ব দিতে সেইজি কিহারা ঢাকা আসছেন।
ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা দেওয়ার আগে নারিটা বিমানবন্দরে কিহারা সাংবাদিকদের জানান, পরিস্থিতি বোঝার জন্য তারা সর্বোত চেষ্টা করবেন। উদ্ধার হওয়া জাপানের নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ও নিখোঁজ ব্যক্তিদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহে কাজ করবেন তিনি।
জাপান সরকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিশেষজ্ঞদের একটি জরুরি টিম ও চিকিৎসক পাঠিয়েছে জাপানিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য।
এদিকে, আইএসপিআর এর পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রাশিদুল হাসান জানিয়েছেন, গুলশান হামলায় নিহত ২০ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে ১৭ জন বিদেশি ও ৩ জন প্রবাসী বাংলাদেশি। বিদেশিদের মধ্যে ৯ জন ইতালীয়, ৭ জন জাপানি ও একজন ভারতীয়। এদের মধ্যে জাপানি ৭ জনের পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, শুক্রবার রাত পৌনে ৯টার দিকে গুলশান-২ এর ৭৯ নম্বর সড়কের রেস্টুরেন্ট ‘হলি আর্টিজান বেকারি’তে প্রথম হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। গুলি করতে করতে ভেতরে ঢুকে রেস্টুরেন্টে থাকা লোকদের জিম্মি করে ফেলে তারা। খবর পেয়ে গুলশানসহ আশেপাশের থানাগুলো থেকে পুলিশ ছুটে যায় ঘটনাস্থলে। গিয়েই তারা রেস্টুরেন্ট কম্পাউন্ডে ঢুকে পড়ে। সন্ত্রাসীরা অত্যাধুনিক অস্ত্র ও বিস্ফোরক দিয়ে পাল্টা আক্রমণ করলে পুলিশ সদস্যদের অনেকেই হতাহত হন। পিছু হটতে বাধ্য হন পুলিশসহ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
এরপর শনিবার সকাল সাতটা চল্লিশে শুরু হয় ‘অপারেশন থান্ডারবোল্ট’। ১২-১৩ মিনিটের মধ্যে সন্ত্রাসীদের নির্মূল করা হয়। সাড়ে আটটায় অপারেশন সমাপ্ত করা হয়।
অভিযানে ৩ জন বিদেশি যার মধ্যে ১ জন জাপানি এবং ২ জন শ্রীলঙ্কার নাগরিকসহ মোট ১৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। আর অভিযানের পর তল্লাশি শেষে আরও ২০ জন বিদেশির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। অভিযানে ৬ সন্ত্রাসীর সবাই নিহত হন।
[বাংলা ট্রিবিউন]