পাকিস্তান, আফগানিস্তানসহ মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশে সন্ত্রাসী জঙ্গী হামলা হয়।বড় বড় নাম করা হোটেল, চলন্ত বাস এবং জনসমাগমস্থলে বোমা হামলা এবং
নির্বিচারে ফায়ার করে মানুষ মেরে ফেলা হয়।এসব হামলায় কে কে মরল তার চেয়েও বড় অর্জন হল তারা হামলা করে মানুষ মারতে পেরেছে, একটা অঘটন ঘটাতে সফল হয়েছে।
দেশে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন অঘটন ঘটছে কিন্তু এমন বিভীষিকাময় ঘটনাও এখানে ঘটতে পারে তা আদৌ ভাবিনি। কিন্তু এটাই তো হল। এ ঘটনায় দেশ এবং বিশ্ববাসির মত আমিও বাকরুদ্ধ এবং গভীর শোকাহত।
এবার নিশ্চয় সরকার এই বিষয়ে নতুন করে ভাববে, এসব ঘটনাকে হালকাভাবে নেবে না। রাজনৈতিক দোষারূপ ছেড়ে সমস্যার গভীরে যাওয়ার চেষ্টা করবে, প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে, মানুষকে সান্তনা নয়, বরং স্বস্থি দেবে।
ক্ষমতার বাইরে থাকা দলগুলোও রাষ্ট্রের এমন সংকটকালে ক্ষমতাসীনদল এবং সরকারকে আক্রমণ না করে সঠিক পরামর্শ এবং দিক নির্দেশনা দিয়ে সহযোগিতা করবে এমনটাই আমাদের প্রত্যাশা।
গুলশান হামলার মধ্য দিয়ে এমন নারকীয় কায়দার ঘটনা দেশে শুরু হল কি শেষ হল তা হলফ করে বলা যায় না। দেশের সর্বত্র সর্বোচ্চ সতর্কতার কোন বিকল্প নেই। এটাও টার্গেট কিলিং এর অংশ বলে ধরে নেয়া যায়।তবে এই ঘটনায় কোন ধর্মকে টেনে আনার কোন যুক্তিকতা নেই।
যুক্তরাজ্যের প্রভাবশালী পত্রিকা ‘দ্য টেলিগ্রাফ’ বলেছে, বাংলাদেশের ক্ষমতার কেন্দ্রস্থল হল ঢাকার গুলশান। অর্থাৎ রাষ্ট্রের ক্ষমতার কেন্দ্রস্থলেই আঘাত হানা সম্ভব হয়েছে।
আমাদের কক্সবাজার পর্যটন নগরী হওয়ায় ঢাকা শহরের চেয়েও বেশি আন্তর্জাতিক মানের হোটেল-রেস্তোরা এখানে আছে। দেশি পর্যটকের পাশাপাশি বিদেশি পর্যটকের আগমন এবং অবস্থান কোন অংশে কম নয়। সার্বিক নিরাপত্তার প্রয়োজনে নিবিড় পর্যবেক্ষণ এবং আইনশৃংখলা বাহিনীর তৎপরতার বিকল্প নেই। এককথায় পুরো কক্সবাজারকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে রাখতে হবে। পর্যটনমুখি অন্যান্য স্পটগুলোর সাথে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর নিরাপত্তা আরো জোরদার করা দরকার।
গুলশান হামলায় নিহত সকলের পারলোকিক সদগতি কামনা করছি।ক্ষতিগ্রস্ত এবং শোকাহত পরিবারগুলোর প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।