অনলাইন ডেস্কঃ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে উপ উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করে আসা অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার এবার উপাচার্য হলেন।
অর্ধশতক পেরিয়ে আসা এই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়টিতে তিনিই প্রথম নারী উপাচার্য। বাংলার এই অধ্যাপক ২০১৬ সাল থেকে উপ উপাচার্য পদে নিয়োগ পেয়েছিলেন।
শিরীণ আখতারকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ১৯৭৩ এর ১২ (২) অনুযায়ী প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে ভাইস চ্যান্সেলর পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কে এম নূর আহমদ।
গত ১৩ জুন থেকে অধ্যাপক শিরীণ আখতার উপাচার্যের রুটিন দায়িত্বে ছিলেন। পূর্ণ উপচার্যের দায়িত্ব পাওয়ায় তিনি রুটিন দায়িত্ব থেকে মুক্ত হলেন।
নূর আহমদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “দায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্য শিরীণ আখতারকে সিনেট কর্তৃক নির্বাচিত প্যানেল হতে নিয়মিত ভাইস চ্যান্সেলর নিয়োগ অথবা পুনরাদেশ না হওয়া পর্যন্ত তিনি উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করবেন।
“আজ থেকেই তিনি উপাচার্যের দায়িত্ব গ্রহণ করবেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সার্বক্ষণিক অবস্থান করবেন।”
শিরীণ আখতার কক্সবাজার সরকারি গার্লস স্কুল থেকে ১৯৭৩ সালে এসএসসি, চট্টগ্রাম সরকারি গার্লস কলেজ থেকে ১৯৭৫ সালে এইচএসসি এবং ১৯৭৮ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।
১৯৮১ সালে একই বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেন তিনি। এছাড়া ভারতের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি নেন।
শিরীণ আখতার ১৯৯৬ সালের জানুয়ারিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে প্রভাষক পদে যোগদান করেন। পদোন্নতি পেয়ে ২০০৬ সালে অধ্যাপক হন তিনি।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৬৯ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মুক্তির জন্য চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক লালদীঘি ময়দানে যে জনসভা হয়েছিল, তাতে শিরীণ আখতার বক্তব্য রাখেন। তখন তার বয়স ছিল ১৩ বছর।
রাজনীতিবিদ প্রয়াত আফসার কামাল চৌধুরী তার বাবা।
সূত্রঃ বিডিনিউজ