জঙ্গিবাদ এখন বৈশ্বিক সমস্যা বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, এ সংকট সবাইকে সঙ্গে নিয়েই মোকাবিলা করতে হবে। গুলশান হামলার বিষয়ে বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটে, তার সব ব্যবস্থা বাংলাদেশ গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছি। রবিবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। খবর বাংলাট্রিবিউনের।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গোলিয়ার রাজধানী উলানবাটরে ১১তম এশিয়া- ইউরোপ মিটিং (আসেম) সম্মেলনে যোগদান শেষে দেশে ফিরে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, গুলশান হামলার ঘটনায় জাইকার সহায়তা বা অন্য কোনও প্রকল্পে জাপানের অর্থ ছাড়ে কোনও প্রভাব ফেলবে না বলে জাপান সরকার জানিয়েছে। এ সময় তিনি আরও বলেন, তুরস্কের মানুষ সেনা অভ্যুত্থাআবারও প্রমাণ করেছেন জনগণই সব ক্ষমতার উৎস।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেকোনও ধরনের হামলার ঘটনায় বিশ্ব নেতারা উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তবে বাংলাদেশের কোনও ঘটনা ঘটলে তা নেতিবাচকভাবে দেশের মিডিয়াই আগে তুলে ধরে। তারাই আগে সেই ঘটনার লাইভ করে দেখায় কোথায় লাশ পড়ে আছে, কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ফলে বিশ্ব মিডিয়াগুলো সেগুলো প্রকাশ করে। এতে দোষটা কার সেটা আমাদের ভেবে দেখতে হবে।
এ সময় তিনি সাংবাদিকদের সমালোচনা করে বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারই ক্ষমতায় এসে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার চিন্তা করেছে। আর অন্যরা নিজেদের আর্থসামাজিক উন্নয়নে এবং ক্ষমতায় টিকে থাকতে কাজ করেছে। এ সময় তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন।
পদ্মা সেতুতে বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়ন বন্ধ করার সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটা মানুষের জন্য পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন বন্ধ করে। সাংবাদিকরা সেটা কখনও লেখেননি। কিন্তু আমি তখন থেকেই এটাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি। কারণ আমি চ্যালেঞ্জ নিতে জানি। আমরা এখন নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করছি। যা তারা কখনও চিন্তা করেনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এবারের আসেম সম্মেলনে তিনটি দলিল গৃহীত হয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, জাপান, মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা হয়েছে।