অনলাইন ডেস্কঃ
ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানে এমন বই বইমেলায় থাকবে না বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, অমর একুশে বইমেলাকে ঘিরে নেয়া হয়েছে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানে এমন বই মেলায় থাকবে না। বইপ্রেমীরা বইয়ের ক্ষুধা বইমেলা থেকে বই কিনে মেটান। তাদের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে সবার সহযোগিতা কামনা করছি।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে ডিএমপি সদর দফতরে ‘অমর একুশে বইমেলা’র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে আয়োজিত সমন্বয় সভায় এ কথা বলেন ডিএমপি কমিশনার।
প্রতি বছরই অমর একুশে বইমেলার আয়োজন করে বাংলা একাডেমি। ফেব্রুয়ারিজুড়ে বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রাঙ্গণে চলে অমর একুশে বইমেলা।
বইমেলা বাংলা একাডেমি আয়োজন করলেও আমরা এর অংশ হয়ে গেছি উল্লেখ করে কমিশনার বলেন, সবাই মিলে চেষ্টা করলে বাঙালির প্রাণের মেলা সফলভাবে শেষ করতে পারব। আপনারা যেকোনো পরিস্থিতিতে পুলিশের সহযোগিতা নেবেন।
বইমেলার নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে বাংলা একাডেমির সচিব মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, এবারের মেলায় ৫৩৮টি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করবে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বইমেলায় ৪১১টি প্রতিষ্ঠান ও বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ১২৭টি প্রতিষ্ঠান মোট ৮৭২টি ইউনিটে বুক স্টল দেবে। এছাড়া বইমেলা প্রাঙ্গণে থাকছে শিশু চত্বর, মসজিদ, টয়লেট ব্যবস্থাপনা, ফুড পার্ক ও প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্র। বইমেলায় বই মনিটরিং করতে থাকবে মনিটরিং কমিটি। বইমেলার নিরাপত্তায় ৩০০টির অধিক সিসি ক্যামেরা বসানো হচ্ছে। বাঁশ ও টিন দিয়ে মেলা প্রাঙ্গণ শক্ত করে বেষ্টনী দেয়া হচ্ছে। প্রতিটি বুক স্টলে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র বাধ্যতামূলকভাবে রাখতে প্রকাশকদের বলা হয়েছে। বইমেলা আপনার আমার সবার, আমরা সবার সহযোগিতা চাই।
সমন্বয় সভায় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী, ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মোসাম্মৎ জোহরা খাতুন, বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক সমিতির সহ-সভাপতি শ্যামল পাল, গোয়েন্দা সংস্থা ও ফায়ার সার্ভিসসহ সরকারের সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা।
উল্লেখ্য, আগামী ২ ফেব্রুয়ারি বিকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অমর একুশে বইমেলার শুভ উদ্বোধন করবেন বলে বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
সূত্রঃ জাগোনিউজ