হাফিজুল ইসলাম চৌধুরী:
কক্সবাজার সদর, রামু ও বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে দুস্থ ও ঝরে পড়া শিশুদের শিক্ষা সহজ করে দিয়েছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট সেন্টার (কোডেক) পরিচালিত শিখন স্কুল। চার বছর আগে এ তিন উপজেলায় প্রতিষ্ঠিত ১৫৫টি শিখন স্কুল এখন দুর্গম এলাকার সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের পদচারণায় মুখর। এসব স্কুলের প্রায় সাড়ে চার হাজার ছাত্র-ছাত্রীকে নিয়মিত পাঠদান করে যাচ্ছেন ১৫৫ জন প্রশিক্ষিত শিক্ষক।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, শিখন স্কুলের শিক্ষার্থীরা নিয়মিত স্কুলে যায়। বই, খাতা, কলমসহ শিক্ষার্থীদের যাবতীয় শিক্ষাসামগ্রী ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও সেভ দ্য চিল্ড্রেনের অর্থ ও কারিগরি সহায়তায় কোডকে প্রদান করে। স্কুলের শিক্ষকদের সহায়তায় ছেলে-মেয়েরা বিভিন্ন গ্রুপে ভাগ হয়ে স্যানটিশেন বিষয়ে সচেতনামূলক প্রচারণা, খেলাধুলা, চিত্রাঙ্কন, সংস্কৃতির্চচার আয়োজন করেন।
জাতীয় দিবসগুলো পালন করা হয় অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে। এসব কারণে এতদঅঞ্চলের এক সময়ের ঝরে পড়া শিশু শিক্ষর্থীরা আনন্দের সাথে কোডেকের কল্যাণে নতুনভাবে পড়ালেখা চালিয়ে যাচ্ছেন।
কক্সবাজার সদর শিখন অফিসের মাঠ সমন্বয়কারী আজিজুল হক বলেন, দুর্গম ও স্কুল বিহীন এলাকায় শিক্ষার মান বাড়াতে কোডেক কর্তৃপক্ষ কাজ করছে। কক্সবাজার সদর, রামু ও নাইক্ষ্যংছড়ির ১৪টি ইউনিয়নে ১৫জন লার্নিং ফ্যাসিলেটেটর ১৫৫টি শিখন স্কুল সফলতার সাথে পরিচালনা করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় ঘুর্ণিঝড় রোহানুর আঘাতে ক্ষতিগ্রস্থ সদর ও রামুর ১৪টি বিদ্যালয় ঘর সম্প্রতি নতুন করে নির্মাণ করা হয়েছে।
তিনি জানান, সেভ দ্য চিল্ড্রেনের একটি প্রতিনিধি দল সরেজমিনে পরির্দশন করে এসব বিদ্যালয় ঘরে শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনেন। পরে ১৪টি স্কুলের প্রতিটি শিক্ষার্থীদের মাঝে একটি করে স্কুল ব্যাগ, ছাতা, ওয়াটার পট, স্কেল ও ৩ টি করে পেন্সিল বিতরণ করা হয়। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে টিটিএস পতিলাল চাকমা, সুবিমল পাল, এ্যাডমিন হরিকিশোর তনচঙ্গ্যাঁ ও অনিরুদ্ধবম চক্রবক্রী উপস্থিত ছিলেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেজে, এই শিক্ষা উপকরণ পাওয়ার পর শিশুরা একদিকে মহাখুশি অন্যদিকে পড়ালেখায় উৎসাহিত হয়েছে। গরিব অভিভাবকরা বলছেন-শিখন স্কুল না হলে তাঁদের সন্তানরা শিক্ষার আলো ফিরে পেতো না।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আবু আহমেদে আমাদের রামু ডটকমকে বলেন, বিদ্যালয় বিহীন সীমান্তের দূর্গম গ্রামের ঝরেপড়া শিশুরা এখন শিখন স্কুলে লেখাপড়া করছে। এটি একটি অনন্য ভাল উদ্যোগ। কোডেক কর্তৃপক্ষকে এ ব্যাপারে আমরাও সহযোগিতা করছি।