গিয়াস উদ্দিন ভুলু , টেকনাফ:
কিছুতেই থামছেনা মিয়ানমারে উৎপাদিত মরণনেশা ইয়াবা পাচার। ইদানিং ইয়াবা পাচারে পুরুষদের পাশাপাশি জড়িয়ে পড়ছে নারী, যুবতী ও কিশোরীরা। উদ্দেশ্য ইয়াবা ব্যবসা করে রাতারাতি কোটিপতি হওয়া।
গত কয়েক মাস ধরে টেকনাফ ২ বিজিবি সদস্যরা ইয়াবাসহ আটক করছে নারী ও অল্প বয়সী যুবতীসহ বেশ কয়েকজন পাচারকারিকে। ২৪ জুলাই গভীর রাতে সুদুর ঢাকা থেকে এসে টেকনাফ থেকে ইয়াবা নিয়ে যাওয়ার সময় বিজিবি জালে ধরা পড়ল তিন জন মহিলা ও এক যুবক।
বিজিবি সুত্রে আরো জানা যায়, ২৪ জুলাই গভীর রাতে দমদমিয়া বিওপির সদস্যরা গোপন সংবাদে টেকনাফ থেকে ছেড়ে যাওয়া কক্সবাজারগামী যাত্রীবাহী স্পেশাল সার্ভিসে তল্লাশী চালিয়ে প্রায় ২০ হাজার ইয়াবাসহ ঢাকা কদমতলী এলাকার মৃত শাহজাহান মিয়ার ছেলে মো: হাফিজ (২৮), ফরিদপুর সদর এলাকার ওবাইদুর রহমানের স্ত্রী সুমি আক্তার (২০), ঢাকা শ্যামপুর এলাকার মো. সেলিমের স্ত্রী মোছাৎ আলো (৪৫) ও তার স্কুল পড়ুয়া মেয়েকে আটক করে।
আটক করার পর ইয়াবাসহ এই ৪ জন পাচারকারিকে টেকনাফ থানায় সোর্পদ করা হয়েছে। এই সংবাদের সত্যতা নিশ্চিত করে ২ বিজিবি অধিনায়ক লে: কর্ণেল আবুজার আল জাহিদ জানান, ইদানিং ইয়াবা পাচারে নারীদের সংখ্যা বাড়ছে। উদ্দেশ্য এই ব্যবসা করে কম সময়ে বেশি টাকার মালিক হওয়া।
তিনি আরো জানান, ইয়াবা ব্যবসায়ীরা তাদের নিত্য নতুন কৌশলে পুরুষদের পাশাপাশি নারীদেরকেও ইয়াবা পাচারে ব্যবহার করছে। পাচারকারিরা যতই কৌশল অবলম্বন করুক না কেন তাদেরকে ধরতে আমাদের সদস্যরা সদা প্রস্তুত রয়েছে।
এদিকে ইয়াবাসহ ধরা পড়া ছাত্রী বলেন, ঢাকা থেকে টেকনাফে এসেছি বেড়াতে কিন্তু ঢাকা যাওয়ার সময় আমার মা আলো ও তার দুই সহযোগী মো: হাফিজ, সুমি ইয়াবা নিয়ে যাবে তা আমি বুঝতে পারিনি। যদি বুঝতে পারতাম আমার মা ইয়াবা ব্যবসায়ী তাহলে আমার মায়ের সাথে এই এলাকায় আসতাম না।
ওই ছাত্রী কেঁদে কেঁদে আরো বলেন, এখন আমার লেখাপড়া কি হবে? কবে আমি কারাগার থেকে মুক্তি পাবো ? একমাত্র আল্লাহপাক জানে। আজ আমার এই জীবনের একমাত্র ক্ষতির কারণ হচ্ছে আমার টাকা লোভী মা।