এ.এম হোবাইব সজীব:
কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার উপদ্বীপ মাতারবাড়ী ইউনিয়নে ৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও একটি এবতেদায়ী মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে উপবৃত্তির টাকা বিতরণ সম্পন্ন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
তৎমধ্যে মাতারবাড়ী দক্ষিণ রাজঘাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ ৫টি বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা যথারীতির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মাঝে উপবৃত্তির টাকা বন্টন করতে সক্ষম হলেও ৪ টি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে টাকা বিতরণ নিয়ে অভিভাবক প্রতিনিধি ও পরিচালনা কমিটির সদস্যদের মাঝে ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এসব বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের টাকা বিতরণের জন্য ৩টি কেন্দ্রে ভাগ করে এ টাকা বিতরণ করা হয়। মাতারবাড়ী সঃ প্রাঃ বিদ্যালয়, সিকদার পাড়া সঃ প্রাঃ বিদ্যালয়, উত্তর রাজঘাট সঃ প্রাঃ বিদ্যালয় ও দক্ষিণ রাজঘাট সঃ প্রাঃ বিদ্যালয় সহ এ ৪টি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের টাকা বিতরণ করা হয়েছে মাতার বাড়ী সঃ প্রাঃ বিদ্যালয় কেন্দ্রে।
মাইজ পাড়া এবতেদায়ী মাদ্রাসা, পুরান বাজার সঃ প্রাঃ বিদ্যালয় ও নয়াপাড়া সঃ প্রাঃ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের টাকা বিতরণ করা হয়েছে পুরান বাজার সঃ প্রাঃ বিদ্যালয় কেন্দ্রে। সাইরার ডেইল, দক্ষিণ সাইরার ডেইল ও মগ ডেইল সঃ প্রাঃ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের টাকা বিতরণ করা হয়েছে সাইরার ডেইল সঃ প্রাঃ বিদ্যালয় কেন্দ্রে। এ ৩টি কেন্দ্র সরকারী নিয়ম অনুযায়ী প্রতিটি শিক্ষার্থীদের মাঝে কার্ডের টাকা বিতরণ করেছে উপজেলা সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তার সামনে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা।
পুরান বাজার কেন্দ্রের ৪টি বিদ্যালয়ের মধ্যে শিক্ষার্থীদের মাঝে সরকারী নিয়ম অনুযায়ী টাকা বিতরণ না করায় ২টি বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। একই অভিযোগ উঠেছে সাইরার ডেইল কেন্দ্রে উপবৃত্তির টাকা বিতরণে ২ বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
অন্যদিকে সুনামধন্য দক্ষিণ রাজঘাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ ৫টি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সরকারি নিয়ম অনুয়ায়ী ব্যাংক কর্মকর্তার উপস্থিতিতে টাকা বিতরণ হলে ও বাকী ৪টি বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে গুরুত্বর বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। মাতারবাড়ী দক্ষিণ রাজঘাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য হোছাইন মাসুম বলেন, অন্যন্যা স্কুলে উপবৃত্তির টাকা বিতরণে দুনীর্তি হয়েছে কিনা জানি না। তবে দক্ষিণ রাজঘাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাদের উপবৃত্তির নায্যা টাকা পেয়েছে আমরা তদন্ত করে দেখেছি।
অপরদিকে দক্ষিণ রাজঘাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কার্ড ও বিভিন্ন আনুসাঙ্গিক কাগজপত্র দেখে জানা যায়, শিক্ষার্থীদের মাঝে টাকা বিতরণে কোন ধরনের অনিয়ম পরিলক্ষিত হয়নি। সাফ কথা হল দক্ষিন রাজঘাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ ৫টি প্রতিষ্টানে সুষ্টুভাবে টাকা বিতরণ হলে ও বাকী ৪টি প্রতিষ্টানে টাকা বিতরণে বিভিন্ন অনিয়ম দেখা গেছে।
স্থানীয় অভিবাবক মহল সুষ্টভাবে উপবৃত্তির টাকা বন্টন করে দাওয়ায় দক্ষিণ রাজঘাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ ওসমানের ভূঁইষী প্রশংসা করেছেন। এ ব্যাপারে অভিভাবক মহল ও শিক্ষার্থীরা দুর্ণীতি পরায়ন ৫ স্কুলের শিক্ষকদের শাস্তির দাবি করেছেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে দক্ষিণ রাজঘাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ ওসমান আমাদের রামু ডটককে বলেন, সরকার ঘোষিত উপবৃত্তির টাকা শিক্ষার্থীদের নায্যা অধিকার তাই শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা নিয়ম অনুয়ায়ী তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।