এম.এ আজিজ রাসেল:
হিন্দু ধর্মালম্বীদের মনসা পূজা আর মাত্র কয়েকদিন বাকী। আগামী ১৭ আগস্ট রবিবার (৩০ শ্রাবন) অনুষ্টিত হবে মনসা পূজা। এ মনসা পূজাকে ঘিরে কক্সবাজার জেলায় জমে উঠেছে জমজমাট “পাঁঠা” ছাগলের বাজার।
সদর উপজেলার খরুলিয়া ও ঈদগাঁও বাজারে জমে উঠা পাঁঠা ছাগলের বাজার জেলার মধ্যে ‘গবাদি পশুর বড় বাজার’ হিসেবে খ্যাত। প্রতি সপ্তাহের শনি ও মঙ্গলবার ঈদগাঁও বাজার এবং রোববার ও বুধবার খরুলিয়া বাজারে পশুর হাট বসে। খরুলিয়া বাজারেই একটি পাঁঠার দাম হাকা হয় এক লাখ ২০ হাজার টাকা। কিন্তু দাম বেশি হাঁকাতে ক্রেতারা ছাগলটি কিনতে পারেনি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের থানার রাস্তার মাথা নামক স্থানে দেশীয় জাতের একটি ছাগলের দাম হাকান ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। তবে ছাগলটি কেনার জন্য অনেকে আগ্রহ করে ৮০ হাজার টাকার বেশি উঠেনি। বিক্রেতা তার টার্গেট আগামী বাজার পর্যন্ত অপেক্ষ করবে ।
দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীর এক গৃহস্থ বৃহস্পতিবার কক্সবাজার শহরের আনে এ পাঁঠা ছাগলটি। তার পালিত দেশীয় জাতের এই পাঁঠা ছাগলের দাম হেকেছেন একলাখ ২০ হাজার টাকা। এছাড়াও ১ লাখ, ৮০ হাজার, ৭০ হাজার টাকা মূল্যের অনেকগুলো ছাগল কক্সবাজার শহরের বিভিন্ন স্থানে বিক্রির জন্য আনতে দেখা গেছে।
বৃহস্পতিবার খরুলিয়া বাজারে এক ব্যক্তি ৯০ হাজার টাকায় একটি পাঠাঁ ছাগল বিক্রয় করেন। ছাগলটির ক্রেতা শহরেরই এক জুয়েলার্স মালিক। এছাড়াও পাঁচ হাজার টাকা থেকে ৮০ হাজার টাকার মধ্যে প্রায় পাঁচ শতাধিক ছাগল বেচাকেনা হয় বলে জানান হাটের ইজারাদার সদস্য ব্যবসায়ী নাছির উদ্দিন।
কক্সবাজার পৌর এলাকার থেকে আসা ঝন্টু ধর নামে এক ক্রেতা জানান, অন্য বারের তুলনায় এবার ছাগল বেশি আসলেও দাম হাকানো হচ্ছে বেশি।
জানা যায়, জেলা ছাড়াও বান্দরবান,খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি জেলা সহ বিভিন্ন উপজেলা থেকে এই বাজারগুলোতে আনা হয় বিভিন্ন জাতের বড় বড় পাঁঠা ছাগল। কিছু কিছু ছাগল রাজশাহী ও পাবনা জেলা থেকেও আসে।