গিয়াস উদ্দিন ভুলু , টেকনাফ:
টেকনাফে ২ বিজিবি সদস্যদের বিশেষ অভিযানে প্রতিনিয়ত ধরা পড়ছে লক্ষ লক্ষ মালিক বিহীন ইয়াবা। কিন্তু ইয়াবা উদ্ধার হলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে ইয়াবা পাচারের মুলহোতারা।
মালিকবিহীন লক্ষ লক্ষ ইয়াবা উদ্ধার নিয়েও সচেতন মানুষের মুখে মুখে নানা রকম প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। সুশীল সমাজের বেশ কয়েকজন ব্যক্তিরা অভিমত প্রকাশ করে বলেন, মিয়ানমার থেকে পাচার হয়ে আসা লক্ষ লক্ষ ইয়াবা বিজিবি সদস্যদের হাতে আটক হলেও মুলহোতারা কেন ধরা পড়ছেনা। কেন বার বার থেকে যায় তারা ধরাছোঁয়ার বাইরে ? একারণে পাচারকারিরা সহজে পার পেয়ে সু-কৌশলে এই অবৈধ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে বলে সাধারণ মানুষের ধারণা।
বিজিবি সুত্রে জানা যায়, ১২ আগস্ট শুক্রবার গভীর রাতে বিজিবি সদস্যরা আবারও ১ লক্ষ ২০ হাজার মালিকবিহীন ইয়াবা উদ্ধার করে। বিজিবি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২ বিজিবি অধিনায়ক গোপন সংবাদে জানতে পারে মিয়ানমার থেকে পাচার হয়ে বাংলাদেশ সীমান্তে ঢুকছে ইয়াবার একটি বড় চালান। এমন তথ্যের সুত্র ধরে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের নাজির পাড়া বিওপির সদস্যরা সাবরাং ইউনিয়নের মগপাড়া সীমান্ত এলাকায় অভিযান চালায়। অভিযানে বিজিবি সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে সু-কৌশলে পাচারকারিরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। ওই এলাকাটি তল্লাশী করে পলিথিনের বস্তা থেকে ১ লক্ষ ২০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করে বিজিবি। যার আনুমানিক মূল্য ৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা।
টেকনাফ ২ বিজিবি অধিনায়ক লে.কর্ণেল আবুজার আল জাহিদ ইয়াবা উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে আমাদের রামু কে জানান, অভিযানের উপস্থিতি টের পেয়ে পাচারকারিরা পালিয়ে যায়। তবে এই সমস্ত ইয়াবা পাচারে যারা জড়িত তাদেরকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।