ইমরান হোসাইন, পেকুয়া:
দীর্ঘ ১৬মাস পর অপহরণ মামলার ভিকটিম আনছারা বেগম (২০) কে মামলার বাদী রাজিয়া বেগমের এক আত্বীয়ের বাড়ি থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবুন্যাল এর ৫০৮/১৫ নং মামলার ভিকটিম আনছারা বেগম দীর্ঘদিন পুলিশের চোঁখকে ফাঁকি দিয়ে তার এক আত্বীয়ের বাড়িতে আত্মগোপনে ছিল।
২৮ আগষ্ট দুপুরে পেকুয়া থানা পুলিশের এসআই বিমল কান্তি দেবের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ফোর্স গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পেকুয়াস্থ একটি বাড়ি থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।
এসআই বিমল কান্তি ভিকটিমকে উদ্ধারের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ২০১৫ সালের বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুানালে দায়ের করা একটি মামলায় আনছারা বেগম ভিকটিম ছিল। মামলার স্বার্থে পুলিশ তাকে খোঁজছিল। সর্বশেষ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। এবার আদালত যে সিন্ধান্ত দেয় সেভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জানা গেছে, গত ১৮ এপ্রিল ২০১৫ ইংরেজি নারী ও শিশু নির্যাতন আদালতে রাজাখালী ইউনিয়নের আনছারা বেগম নামের এক মহিলাকে অপহরণের অভিযোগ এনে একটি মামলা দায়ের করেন মা রাজিয়া বেগম। মামলায় বিবাদী করা হয় তাদের নিকট আত্বীয় উপজেলা মহিলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদীকা রাজাখালী ১,২,৩নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমইউপি ছেনোয়ারা বেগম, তার সন্তান চট্টগ্রাম সিটি কলেজ এর অনার্স ফাইনাল ইয়ারের ছাত্র সাদ্দাম হোসেনসহ আরো কয়েকজনকে।
পুলিশ এ মামলার বিবাদীর পক্ষ থেকে বিভিন্ন মাধ্যমে ভিকটিকে উদ্ধারের চেষ্টা করলেও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। সর্বশেষ মামলার আসামী মহিলা নেত্রী ছেনোয়ারা বেগম ভিকটিম আনছারা বেগম তার এক আত্বীয়ের বাড়িতে আছে জানতে পেরে মাধ্যম দিয়ে পুলিশকে বিষয়টি অবগত করে। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে থানার জিম্মায় আসে।
মহিলা আ’লীগ সম্পাদীকা ছেনোয়ারা বেগম জানান, আমার স্বামী মারা যায় ২০০২সালে। ১ ছেলে ৪ মেয়ে নিয়ে আমার সংসার। এছাড়াও দীর্ঘদিন ধরে আমি এলাকায় মানুষের সেবা করে আসছি। বর্তমানে আমি উপজেলা মহিলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদীকা। গত ১৯ এপ্রিল জানতে পারি কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন আদালতে আমার কলেজ পড়ুয়া সন্তানসহ আমাকে বিবাদী করে একটি মামলা দায়ের করে। অথচ আমার স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে মামলার বাদী রাজিয়া বেগমের স্বামী আবু তালেব আবদু রহিমের নামের এক ব্যক্তির কুপ্ররোচনায় বসতবাড়ি দখলের চেষ্টা অব্যাহত রাখে। সর্বশেষ তা করতে না পেরে তার মেয়ে অপহরণ করার অভিযোগ এনে আমাদেরকে বসতবাড়ি ছাড়া করার চেষ্টা চালায়। কিন্তু মহান আল্লাহ আমাদের প্রতি সহায় ছিল।
পেকুয়া থানা পুলিশের অনেক চেষ্টা ও আমাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে ভিকটিমের এক আত্বীয়ের বাড়ি থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়েছে। এবার আমরা এর ন্যায় বিচার দাবি করছি।
ভিকটিম আনছারা বেগমের পরিবারে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। এছাড়াও মুঠোফোন যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।