এম.এ আজিজ রাসেল:
গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কামরুন নাহার বলেছেন, ইসলাম শান্তির ধর্ম। ইসলামে সন্ত্রাস, নাশকতার স্থান নেই। যারা জঙ্গিবাদকে উসকে দিয়ে জান্নাতে যাওয়ার অপপ্রচার করে নাশকতা চালাচ্ছে তারা দেশের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস করছে। তাই এই জঙ্গিবাদ ও নাশকতা হচ্ছে ধর্মের বিরুদ্ধে, শান্তির বিপক্ষে, উন্নয়নের বিরুদ্ধে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ধ্বংস করে দেওয়ার।
তাই আমাদেরকে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলে সমাজে শান্তি ফিরিয়ে আনতে হবে। কারণ শান্তি না হলে প্রবৃদ্ধি হবে না, শান্তি নাহলে দেশে উন্নয়ন ব্যাহত হবে। শান্তি না হলে শিক্ষা-দীক্ষা, আয় উন্নতি জীবনমান কোনটাই অর্জন করতে পারব না। তাই আমাদের নাশকতা এবং জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে দেশকে উন্নত আয়ের দিকে নিয়ে যেতে হবে।
৩১ আগস্ট বুধবার সকাল ১১টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সন্ত্রাস, নাশকতা, জঙ্গিবাদ বিরোধী জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন। কামরুন নাহার আরও বলেন, শান্তি-সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে এবং শিক্ষা ব্যবস্থা ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ধ্বংস করতে জঙ্গি তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। ৩০ লাখ শহীদের রক্ত আর দুই লাখ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে পাওয়া এ স্বাধীন দেশে জঙ্গিদের স্থান কখনো হবে না। তার জন্য আমাদের সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। জঙ্গিদের ব্যাপারে সঠিক তথ্য দিয়ে প্রশাসনকে সহযোগিতা করলে জঙ্গিবাদ নির্মূল সহজ হবে।
তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বেসরকারী সংস্থা, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান সহ বিভিন্ন সংগঠনকে নিয়মিত জঙ্গিবাদ বিরোধী সচেতনতামূলক সভা সমাবেশ অব্যাহত রাখতে হবে। একইভাবে বিভিন্ন গণমাধ্যমে জঙ্গিবাদ বিরোধী সচেতনতামূলক প্রতিবেদন, বিজ্ঞাপন, নাটক সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান করতে হবে। তিনি বলেন, মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ভিশন ২০২১ সালকে লক্ষ্য করে দেশ ক্রমান্বয়ে উন্নতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ২০২১ সালে সুবর্ণ জয়ন্তী হবে সোনার বাংলা গড়ার প্রথম পদক্ষেপ। উন্নয়ন ঠেকাতে দেশে জঙ্গি তৎপরতা শুরু হয়েছে। সোনার বাংলা গড়তে বাঁধা দিতে একটি গোষ্ঠী দেশে সন্ত্রাস ও নাশকতা চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, জঙ্গিবাদ হচ্ছে ধর্ম ও শান্তির বিরুদ্ধে।
জেলা প্রশাসক মো: আলী হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলী, জেলা তথ্য অফিসার নাছির উদ্দিন, সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক প্রীতম কুমার চেধূূরী, সাংবাদিক তোফায়েল আহমদ, জাতীয় ইমাম সমিতির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম সিদ্দিকী, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বাবুল শর্মা, তৈয়বিয়া তাহেরীয়া সূন্নীয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ শাহাদাত হোসেন কাদেরী, সিভিল সোসাইটির সভাপতি আবু মোর্শেদ চোধূরী খোকা, পিটিআই’র প্রশিক্ষণার্থী শাহানা আলম মুন্নি, ঈমাম সমিতির সভাপতি সিরাজুল সিদ্দিকী, সার্বজনীন পূজা উদযাপন পরিষদের বাবুল শর্মা, কক্সবাজার সরকারি মহিলা কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী তৌহিতা জিহান।
অনুষ্ঠানে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, সাংবাদিক, ধর্মীয় পুরোহিত, মৌলভী, এনজিও প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন সরকারি ও আধা-সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।