ইমরান হোসাইন:
রাত ২টা। বিছানায় কিছু একটা পড়ার শব্দে ঘুম ভাঙ্গলো দশম শ্রেণীর আবসিক শিক্ষার্থী নেজাম উদ্দীনের। ভয় পেয়ে বিছানা ছেড়ে উঠে তাড়াতাড়ি আলো জ্বালালো সে। দেখতে পেল তার বিছানায় ধপ করে পড়া জিনিসটি তাদেরই হোষ্টেল ভবনেরই ছাদের পলেষ্টার। সেটা দেখে ভয় কেটে গেলেও অজানা আরেক ভয় ঝেকে বসলো তার মনে। ভবন ধ্বসের ভয় ! সেই রাতে আর ঘুমোতে পারেনি সে। এর দু’য়েক দিন পরেই হোষ্টেল ছাড়ে এই শিক্ষার্থী। একই কারণে হোষ্টেল ছাড়তে বাধ্য হয়েছে অনেক শিক্ষার্থী।
কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের এয়ার আলী খান উচ্চ বিদ্যালয়ের ঝুকিপূর্ণ হোষ্টেল ভবন নিয়ে ভয় ও তাদের অভিজ্ঞতার কথা এভাবেই বলছিলেন বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী।
কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের বিশিষ্ট জমিদার আতাউর রহমান খান কাইছার ১৯৬৬সালে তার পিতার নামে স্থাপন করেন রাজাখালী এয়ার আলী খান উচ্চ বিদ্যালয়। চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসে পঞ্চাশ বছর পূর্তি উদযাপন করতে যাচ্ছে বিদ্যালয়টি। প্রতিষ্টালগ্ন থেকে এই পঞ্চাশ বছরে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন অনুদানে স্কুল অবকাঠমো ব্যাপক উন্নত হলেও হোষ্টেল ভবনটি থেকে গেছে উন্নয়ন বঞ্চিত। হয়নি স্কুল সরকারিকরণও।
প্রত্যেক বছরে জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষায় স্কুলের শিক্ষার্থীরা উত্তরোত্তর ভালো ফলাফল অর্জন করে আসছে। তাই এ স্কুলটিকে সরকারিকরণ ও আবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন হোষ্টেল ভবন নির্মাণ এখন সময়ের দাবি বলে মনে করছেন স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সচেতন অভিভাবকরা।
এব্যাপারে রাজাখালী এয়ার আলী খান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইফুল ইসলাম আমাদের রামু কে বলেন, হোষ্টেল ভবনটি ঝুঁকিতে থাকায় এবং কিছুদিন আগে ছাত্রদের মধ্যে একটি মারামারির ঘটনা ঘটায় বর্তমানে হোষ্টেল অনিদিষ্টকালের জন্য বন্ধ আছে। বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সাথে কথা বলে এব্যাপারে করণীয় ঠিক করা হবে।
পেকুয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান আমাদের রামু কে বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিলনা। আমি ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি।