বিশেষ প্রতিবেদক:
রামু উপজেলার ঈদগড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান যুবলীগ নেতা ফিরোজ আহমদ ভূট্টো গ্রেফতার হয়েছেন। ঈদগড় আওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদক ডা. মহিউদ্দিন হত্যা মামলার অন্যতম আসামী চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমদ ভূট্টো বুধবার (৩১ আগস্ট) কক্সবাজার সিনিয়র জুড়িশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট সিরাজ উদ্দিনের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। কিন্তু বিজ্ঞ আদালত জামিন নামঞ্জুর করে চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমদ ভূট্টো আটক দেখিয়ে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
উল্লেখ্য, আড়াই মাসপূর্বে (১৬ জুন) রামু উপজেলার ঈদগড় ইউনিয়নের মোহাম্মদ শরীফ পাড়া এলাকায় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদক ডা. মহিউদ্দিনকে তার বাড়িতে ঢুকে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
পরে নিহত মহিউদ্দিনের স্ত্রী জাহেদা বেগম বাদী হয়ে ঈদগড় ইউপির চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমদ ভুট্টুকে প্রধান আসামী করে ১৩ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা (নং জিআর ১৯০/১৬) দায়ের করেন।
বাদী পক্ষের আইনজীবী এ্যাড. ফিরোজ আলম জানিয়েছেন, মামলার পর দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমদ ভূট্টো। তবে সম্প্রতি ঈদগড় ইউনিয়ন পরিষদের নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান হিসেবে শপথ নেয়ার জন্য হাইকোর্ট থেকে ১ সপ্তাহের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পান তিনি। ৩০ আগস্ট ওই জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় ৩১ আগস্ট কক্সবাজার সিনিয়র জুড়িশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট সিরাজ উদ্দিনের আদালতে হাজির হয়ে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। পরে আদালত সব দিক বিবেচনা করে বাদী পক্ষের আইনজীবীর আবেদনের প্রেক্ষিতে জামিন নাকচ করে চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমদ ভূট্টোকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এদিকে চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমদ ভূট্টোর পরিবারের দাবি হত্যার ঘটনায় উদ্দেশ্যমূলকভাবে তাকে জড়ানো হয়েছে। নির্বাচনে বিরোধের জের ধরে একটি প্রভাবশালী মহল মামলায় চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমদ ভূট্টোকে জড়ানোর ঘটনায় ইন্ধন যুগিয়েছে।
এ ছাড়া চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমদ ভূট্টোকে এ মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়ার দাবিতে ইতিপূর্বে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয় এবং রামু উপজেলা পরিষদ চত্বরে ঈদগড় ইউনিয়নের শত শত জনতা মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছিলো।
মামলার বাদী নিহত আওয়ামীলীগ নেতা ডা. মহিউদ্দিনের স্ত্রী জাহেদা বেগম বলেন, স্বামীকে খুন করার পর চেয়ারম্যান ভূট্টো আমাকে স্বপরিবারে এলাকা ছাড়া করেছে। তার হুমকিতে এক মূহুর্তও নিরাপদে থাকতে পারছিনা। কিন্তু আজ আদালত তাকে জেলে পাঠিয়ে দেওয়ায় কিছুটা হলেও স্বস্তি পেয়েছি। তিনি তার স্বামী হত্যার ন্যায় বিচার দাবি করেন।