ইমরান হোসাইন:
পেকুয়া উপজেলার প্রধান সড়কের সাবেক গুলদি থেকে গোয়াখালী চরপাড়া পর্যন্ত দুই কিলোমিটার অংশে তিন শতাধিক ছোট-বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন পথচারী ও যানবাহনের চালকেরা। সড়কের এই অংশে পেকুয়া উপজেলা সদর ও প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র পেকুয়া বাজারের অবস্থান। তাই ভোগান্তির মাত্রা একটু বেশী পোহাতে হচ্ছে এ সড়ক ব্যবহারকারীদের।
শুক্রবার সরেজমিনে দেখা যায়, পেকুয়া বাজারের পশ্চিম পাশে পানি উন্নয়ন বোর্ড কার্যালয়ের সামনে ছয়টি বড় গর্ত। বৃষ্টির কারণে গর্তগুলো যেন ডোবায় পরিণত হয়েছে। গর্তের উপর দিয়ে হেলে-দুলে গাড়ি চলাচল করছে। এর আরেকটু পূর্বে ফাঁসিয়াখালী সেতুর সামনে একটি লবণ বোঝাই ট্রাককে গর্তে আটকা থাকতে দেখা যায়। গর্তের ওপর দিয়ে গাড়ি যাওয়ার সময় সড়কের দুই পাশের দোকানে ছিটকে ময়লা পানি ঢুকছে। এ ছাড়া বাজারের পূর্ব পাশে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে, বিশ্বাসপাড়ার সামনে, পল্লী বিদ্যুৎ কার্যালয়ের সামনে, পেকুয়া ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশনের সামনে ও আনোয়ার উলুম মাদ্রাসার পূর্ব পাশে সাবেক গুলদী এলাকার সড়কে বড় আকারের গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।
পেকুয়া আলহাজ্ব কবির আহমদ চৌধুরী বাজার (পেকুয়া বাজার) পয়েন্টে সৃষ্ট গর্ত গুলো ছোট আকারের পুকুরের আকার ধারণ করেছে। চলতি বর্ষা মৌসুম শুরু হতেই উপজেলার ব্যস্ততম সড়কটির বেহাল দশায় পরিনত হয়েছে।
স্থানীয়রা বলেন, বর্ষা শুরুর আগে এ সড়ক দিয়ে গ্যাস পাইপ লাইন কোম্পানীর (পিইএএল) ভারী গাড়ি চলাচলা করায় নাজুক অবস্থা সৃষ্টি হয়। এরপর বর্ষা মৌসুম শুরুতে মগনামা বেড়ীবাঁধের জন্য পাথর বোঝাই গাড়ি চলাচল করায় এসব গর্তের সৃষ্টি হয়। বৃষ্টি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সড়কের গর্তগুলো বড় হতে থাকে। গর্তে পড়ে গাড়ি নষ্ট হয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত।
বিকল্প কোন সড়ক না থাকায় এ সড়ক দিয়ে যাতায়াতে নজিরবিহীন দুর্ভোগে পড়েছে পেকুয়া ও কুতুবদিয়া উপজেলার কয়েক লক্ষ মানুষ। পেকুয়া বাজারের পশ্চিম ও পুর্ব পাশ্বে প্রায় দুই কিলোমিটার সড়ক জুড়ে তৈরী হয়েছে মরন ফাঁদ হয়েছে। যেকোন সময় দূর্ঘটনার শংকায় ভুগছেন পথচারীরা। এতে, যান চলাচল বন্ধ হওয়ার উপক্রম দেখা দিয়েছে।
পেকুয়া বাজারের ব্যবসায়ীরা বলেন, সড়কের কারণে পেকুয়া বাজারের ব্যবসা বানিজ্যে প্রভাব পড়ছে। কমেছে ব্যবসা বাণিজ্য। এসড়কটি সংস্কারে জরুরীভাবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন।
পেকুয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এড. কামাল হোছেন বলেন, পেকুয়ার প্রধান সড়কটি সড়ক ও জনপদ বিভাগের আওতাধীন। এ সড়ক দিয়ে পেকুয়ার মানুষ ছাড়াও কুতুবদিয়া উপজেলার জনসাধারণ যাতায়াত করে। এছাড়া পেকুয়া বাজারটি উপকূলীয় অঞ্চলের প্রধান বাজার। এ বাজারে মহেশখালী, বাঁশখালী ও কুতুবদিয়ার লোকজন কেনাকাটা করতে আসেন। অথচ এ বাজারের প্রধান সড়কটির দশা বেহাল হয়ে পড়েছে।
পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) মারুফুর রশিদ খান আমাদের রামু কে বলেন, সড়কের অবস্থা সম্পর্কে সড়ক ও জনপথ বিভাগকে জানানো হয়েছে। এ ব্যাপারে তারা দ্রুত ব্যবস্থা নিবেন বলে জানিয়েছে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের চকরিয়া কার্যালয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী মুহাম্মদ শহিদুল আলম আমাদের রামু কে বলেন, বৃষ্টিতে কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না বলে সড়কটি অবস্থা বেহাল হয়েছে। শিগগিরই সংস্কারকাজ শুরু করা হবে।